পটুয়াখালীতে ৬০০ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

পানি জমে আছে মুগ ডালের খেতে। ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারী বর্ষণে ডাল জাতীয় শস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কৃষকরা। 

রোববার দিনগত রাত থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টিতে অধিকাংশ ডালসহ রবিশস্য এবং সবজি ক্ষেতে পানি জমে গেছে। 

কলাপাড়া রাডার স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কলাপাড়ায় ২০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠজুড়ে এখন তাদের বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় শস্য রয়েছে। এমন সময় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে অধিকাংশ কৃষক বোরো ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। কিন্তু ডাল জাতীয় শস্য ঘরে তুলতে পারেননি।

সোনাতলা গ্রামের কৃষক জাফর সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার ২৭ শতক জমির ভুট্টা, মরিচ ও ফেলন ডাল বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। একইভাবে রহিম হাওলাদারের ৩০ শতক জমির চিনাবাদাম, মরিচ, মিষ্টি আলু; শাহ আলম বাঘার ১৮ শতক জমির চিনাবাদাম, মুগডাল, মরিচ; ইসমাইল খানের ১৫ শতক জমির মুগ ডাল, মরিচ ও ফেলন ডালের ক্ষেতে এখন প্রায় ১০ ইঞ্চি পানি জমে আছে। 

দুএকদিনের মধ্যে পানি নেমে না গেলে সব পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সোমবারের ভারি বর্ষণে ২৬৬ হেক্টর জমির মুগডাল, ৪৪ হেক্টর জমির চিনাবাদাম, ২৭ হেক্টর জমির মিষ্টি আলু, ১৫২ হেক্টর জমির মরিচ, ৪০ হেক্টর জমির সবজি, ৪২ হেক্টর জমির বোরো ক্ষেত, ২০ হেক্টর জমির ভুট্টা, ১৫ হেক্টর জমির সূর্যমুখী ক্ষেতে পানি জমে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে। 

আগামী দুএকদিনের মধ্যে পানি না নামলে ক্ষতির মাত্রা বাড়ার শঙ্কার কথাও জানালেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিবুদ্দি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বৃষ্টিতে কী পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণের জন্য উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্য পেলেই জেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। 

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago