পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রমত্তা পদ্মার বুকে বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার সকাল ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
ফলক উন্মোচনের আগে মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। মেনাজাত পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সকাল ১১টা ৪৯ মিনিটের দিকে টোল দিয়ে তিনি পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধনী মঞ্চে যান।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ি বহরটি সেতুর মূল অংশে প্রবেশ করে। সেসময় গাড়ি থেকে সেতুতে নামেন প্রধানমন্ত্রী এবং সেতুতে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর মনোমুগ্ধকর আকাশ পথের মহড়া উপভোগ করেন তিনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে যান। সেখানেও মেনাজাত পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ফলক উন্মোচন করেন।
এর আগে, সেতুর উদ্বোধন করতে সকাল ১০টা ৩ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেসময় সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
সুধী সমাবেশের মঞ্চের দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শুধু ইট, সিমেন্ট, লোহা, কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়। এ সেতু আমাদের অহংকার, এ সেতু আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা, আমাদের মর্যাদার শক্তি। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের কারণে এই সেতু নির্মাণে ২ বছর দেরি হয়েছে। সব অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে যাত্রা করতে সক্ষম হয়েছি। সেতুর প্রতিটি স্তম্ভ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসীদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদদের স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেতুর সঙ্গে জড়িত অধ্যাপক জামিলুর রেজাসহ যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে অনেককেই মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে। আমারে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনসহ অনেককেই এর সঙ্গে জড়িয়ে মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে।
বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া পয়েন্টে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শীট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেছেন। এরপর তিনি সেতু সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ছবি তোলেন।
Comments