পায়রা-বিষখালী নদীর জোয়ারে তলিয়ে গেছে ফেরিঘাট, দুর্ভোগে মানুষ

জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ফেরিঘাট। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

বরগুনার পায়রা ও বিষখালী নদীর জোয়ারের পানিতে ২টি ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। ফলে, যানবাহন ও মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের নৌকায় করে বা পানিতে ভিজে ফেরির পন্টুনে উঠতে হচ্ছে। এ ছাড়াও, নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার বরগুনা সদর উপজেলার বড়ইতলা ও আমতলীর পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পায়রা ও বিষখালী নদীর উচ্চ জোয়ারের পানিতে বড়ইতলা ও আমতলী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে আছে। মোটরসাইকেল, বাস ও ট্রাক ফেরির পন্টুন থেকে রাস্তায় ওঠার সময় পানিতে আটকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

বাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের কারণে বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী, বাওয়ালকার, বরইতলা, পশ্চিম গোলবুনিয়া, ডালভাঙা এলাকার বাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। প্রতি বছর বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যায়। ফলে, এসময় প্রায় জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় পায়রা ও বিষখালী নদীর আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরিঘাট।

বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকার চা-দোকানি আউয়াল হোসেন বলেন, 'পূর্ণিমার প্রভাবে গত ৩ দিন ধরে নদীতে পানি বাড়ায় ফেরিঘাটের এপ্রোচ সড়ক ও গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। ভাটার সময় পানি নেমে গেলেও সবাইকে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা এ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।'

ফেরিতে পারাপার হওয়া এনজিও কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, 'ফেরিঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। পারাপারে ঝুঁকিও বাড়ছে।'

স্থানীয়দের নৌকায় করে বা পানিতে ভিজে ফেরির পন্টুনে উঠতে হচ্ছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পোটকাখালী এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, 'জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাট ছাড়াও স্থানীয়দের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এখন রাত-দিন ২ বার করে বাড়িঘরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে অনেক বাড়িতে রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না।'

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন বলেন, 'বরইতলা ফেরিঘাট সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।'

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, 'পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার প্রধান ৩টি নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ দিন ধরে ৬০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আরও ১-২ দিন এভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago