পুলিশ পরিচয়ে জুরাইনের মিজানুর রহমানকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

মিজানুর রহমান মিজান। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

পুলিশের পরিচয় দিয়ে রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মিজানকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জুরাইনের বিক্রমপুর প্লাজার সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

মিজানুর রহমান মিজানের স্ত্রী শামিম হাসেম খুকি দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'সকাল ১১টার দিকে পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন মিজানকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। সে আমার মেয়েকে বিষয়টি টেলিফোনে জানায়। তারপর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।'

মিজানুর রহমানের মেয়ে পূর্ণতা হাসিনা টেলিফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাবা ফোন করে জানান যে বিক্রমপুর প্লাজার সামনের পুলিশ বক্স থেকে তাকে ডাকা হয়েছে। তিনি সেখানে যাচ্ছেন। মাকে ফোন করে বিষয়টি জানাতে বলেন।'

পূর্ণতা হাসিনা বলেন, 'আমি ফোনের ওপাশ থেকে শুনতে পাই যে, কেউ একজন বলছেন, ডিসি স্যার আপনাকে ডাকছেন। আপনি আসেন।' 

মিজানুর রহমান মিজানের বন্ধু মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে বলেন, 'মিজান আমাকে সকাল ১১টায় ফোনে করে জানান তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তার লাইন কেটে যায়। আমি এখন শ্যামপুর থানার সামনে আছি। আমাকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। তবে এখানকার আনসার ও আশপাশের লোকজন জানিয়েছে, দাড়িওয়ালা টাক মাথার একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।'

দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে মিজানের নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনে রিং হলেও কেউ রিসিভ করেনি।

শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা মিজানুর রহমান মিজানকে তুলে আনিনি। তবে জানতে পেরেছি তাকে ডিবিতে নেওয়া হয়েছে। জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি একজন সন্দেহভাজন ইন্ধনদাতা। তার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখছেন।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর হামলার ঘটনার পর অনেকেই ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে আছেন। আমরা অনেককেই খুঁজছি। তবে মিজানুর রহমান নামে কাউকে এখনো তুলে আনা হয়নি।'

মিজানুর রহমান মিজানকে আটক করা বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উস্কে দিয়ে জুরাইনে পুলিশ সার্জেন্টের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তারমধ্যে মিজানুর রহমান আছে কিনা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা যাচাই করে দেখবো।'

মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে ওয়াসার পানি দিয়ে তৈরি 'শরবত' খাওয়াতে এসেছিলেন। তবে ওয়াসার এমডি তার সঙ্গে দেখা করেননি। তারপর থেকে মিজানুর রহমান আলোচনায় আসেন।

Comments

The Daily Star  | English
NSC shop rent scam in Dhaka stadiums

Shop rent Tk 3 lakh, but govt gets just Tk 22,000

A probe has found massive irregularities in the rental of shops at nine markets of the National Sports Council (NSC), including a case where the government receives as little as Tk 22,000 in monthly rent while as much as Tk 3 lakh is being collected from the tenant. 

17h ago