পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি

পোশাক শ্রমিকদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনসহ শ্রমিকরা। একইসঙ্গে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আসন্ন বাজেটে সংবিধান ও আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবিও জানান তারা।
আশুলিয়া প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে সভা আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

পোশাক শ্রমিকদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনসহ শ্রমিকরা। একইসঙ্গে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আসন্ন বাজেটে সংবিধান ও আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবিও জানান তারা।

আজ শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় এ দাবি জানান তারা।

সভায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, 'শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া হচ্ছে শ্রমিক আন্দোলনের সূতিকাগার। সারাদেশের শ্রমিকরা আশুলিয়ার দিকেই তাকিয়ে থাকেন। এর আগে প্রত্যেকটি মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে এই অঞ্চলের শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এবারও শ্রমিকদের ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনেও আশুলিয়ার শ্রমিকদের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।'

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ বলেন, '২০০৬ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার তারা নিশ্চিত করেছিল। ওই সময় শ্রমিকদের যে দুঃখ, দুর্দশা ছিল তা এখনো আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মজুরি এখনো অনেক কম। ন্যূনতম ৮ হাজার টাকা মজুরিতে একজন শ্রমিককে কষ্ট করে জীবনধারণ করতে হচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই মজুরিতে তাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আগামী বাজেটে শ্রমিকদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, রেশনিং, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে সংবিধান ও আইএলও কনভেনশন অনুসারে শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে।'

নিজেদের অধিকার আদায়ে মে দিবসের আলোকে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Comments