Skip to main content
T
বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩
The Daily Star Bangla
আজকের সংবাদ English
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে
  • E-paper
  • English
অনুসন্ধান English T
  • আজকের সংবাদ
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে

  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ও ইউনূস সেন্টারের জবাব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের কথা বলেন। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি আবারও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সেসব অভিযোগের কথা বলেন।
স্টার অনলাইন রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার জুন ৩০, ২০২২ ০১:০৫ অপরাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: বৃহস্পতিবার জুন ৩০, ২০২২ ০১:০৭ অপরাহ্ন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: স্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের কথা বলেন। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি আবারও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সেসব অভিযোগের কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর এসব অভিযোগের ব্যাপারে ঢাকার ইউনূস সেন্টার থেকে লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়, এর মধ্যে অনেকগুলো অভিযোগ কয়েক বছর আগেও করা হয়েছিল এবং আমরা তখন এগুলোর জবাব দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী পুরোনো অভিযোগের সঙ্গে নতুন আরও অভিযোগ যুক্ত করেছেন। সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য জানতে চাইছিলেন। তাই আবার অভিযোগের দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে, যাতে জনগণ প্রকৃত তথ্য জানতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

গ্রামীণ ব্যাংক একটা ব্যাংক, তার যিনি এমডি তিনি হচ্ছেন ডক্টর ইউনূস। আইনত তার ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এমডি থাকা যায়। বেআইনিভাবে সে ৭০-৭১ বছর বয়স পর্যন্ত সে এমডি ছিল। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে নোটিশ দেয়। কিন্তু তাকে কিন্তু কোনো অপমান করা হয়নি। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব এবং উপদেষ্টা গওহর রিজভী সাহেব তাকে প্রস্তাব দেয় যে, আপনি গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হয়ে যান। উপদেষ্টা ইমেরিটাস হিসেবে আপনাকে আমরা মর্যাদা দেবো। কিন্তু উনি ওই এমডিই উনাকে থাকতে হবে। এখন একজন এমডি ব্যাংকের, তারতো বাইরে গেলে জিও নিতে হয়, সে তো জিও নেয়নি কোনদিন। বরং আমরাও তাকে অনেক বেশি সুযোগ দিয়েছি ।

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

শুরুতেই পরিষ্কার করা প্রয়োজন যে, গ্রামীণ ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক যার ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক এর ঋণগ্রহীতারা। একটি আলাদা আইনের মাধ্যমে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য সন্নিবেশ করে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, ফলে অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে এর পার্থক্য আছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয় এর পরিচালনা পরিষদের নির্ধারণ করা শর্তে একটি চুক্তির অধীনে। এই নিয়োগের জন্য কোনো বয়সসীমা আইনে বা পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে উল্লেখ ছিল না।

অধ্যাপক ইউনূস ৬০ বছর বয়সে পদার্পণ করলে তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পরিচালনা পর্ষদকে জানান যে, যেহেতু তার বয়স ৬০ বছর হয়েছে তারা একজন নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। পরিচালনা পর্ষদ অন্য কোনোরকম সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকেই দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেন। পরিচালনা পর্ষদ তার বর্তমান নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবার পর তাকেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেয়। সে সময় তার বয়স ছিল ৬১ বছর ৬ মাস। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নিয়মিত পরিদর্শন প্রতিবেদনগুলোর একটিতে এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিলে গ্রামীণ ব্যাংক বিষয়টি ব্যাখ্যা করে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আর কোনো পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।

জিও বিষয়ে বলতে হয়, বিদেশ ভ্রমণের জন্য তাকে কখনো জিও নিতে হয়নি কারণ তিনি সরকারি কর্মচারী ছিলেন না। এ ব্যাপারে সরকার কখনো আপত্তি তোলেনি।

যখন ২০১১ সালে এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলো এবং অধ্যাপক ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হলো তখন ব্যাংকটির মৌলিক আইনি মর্যাদা হুমকির মুখে পড়ে গেল যা অধ্যাপক ইউনূস ক্রমাগতভাবে সব সরকারের সমর্থন নিয়েই গড়ে তুলেছিলেন। তখন অপসারণের নির্দেশের কারণে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

তিনি চেয়েছিলেন মহামান্য হাইকোর্ট ব্যাংকটির আইনি মর্যাদা সমুন্নত রাখুন। বিষয়টির আইনগত দিকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। অধ্যাপক ইউনূস তার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরি রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শত্রুভাবাপন্ন আচরণ করেছেন, যেমনটি  প্রধানমন্ত্রী বার বার অভিযোগ করছেন – বিষয়টি মোটেই তা নয়। অধ্যাপক ইউনূস যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তা ছিল ব্যাংকটির আইনি মর্যাদা রক্ষা। কেননা তিনি সবসময় বিশ্বাস করতেন যে, যে আইনি কাঠামোয় তিনি বিগত সকল সরকারের সহায়তায় গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে তুলেছিলেন তা দারিদ্র্য নিরসনে একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ব্যাংকটিকে সফল করে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তার চাকরি বিষয়ে বলতে হয়, অধ্যাপক ইউনূস ৬০ বছর বয়সে পদার্পণের পর তিনি কয়েকবার পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরিচালনা পর্ষদ প্রতিবারই তাকে দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেছিল।

২০১০ সালে অধ্যাপক ইউনূস তার একজন উত্তরসূরি খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিতকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি নিজেই একজন যোগ্য উত্তরসূরির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছেড়ে দিতে চাইছিলেন।

অর্থমন্ত্রী মুহিতকে লেখা অধ্যাপক ইউনূসের এই চিঠি সে সময়ে দেশের সব সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ আঁকড়ে রাখার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, অধ্যাপক ইউনূসের বয়স ৬০ বছর অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০০১ সালে। কিন্তু সে সময়ে সরকার কখনোই তার বয়স নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করেনি। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও এ-নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেনি।

অধ্যাপক ইউনূস ব্যাংকের আইনি মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হাইকোর্টে যান। তিনি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার চাকরি ধরে রাখার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

হাইকোর্ট এই কারণ দেখিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের পিটিশন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান যে, এ বিষয়ে তার কোনো 'Locus Standi' নেই অর্থাৎ এ বিষয়ে পিটিশন দাখিল করার কোনো এক্তিয়ার তার নেই। এরপর তিনি আপিল বিভাগে যান এবং আপিল বিভাগও একই যুক্তিতে তার আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।

এরপর অধ্যাপক ইউনূস ২০১১ সালের ১২ মে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ যখন আসলো, ইউনূস তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে এবং আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল। কিন্তু প্রত্যেকটা মামলাই সে হেরে গেল কারণ আইন তো তাকে কভার দিতে পারে … আইন তো তার বয়স কমাতে পারে না। কোর্ট তো আর তার বয়স কমাতে পারে না। হেরে গিয়ে আরও ক্ষেপে গেল। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ার, তাকে দিয়ে ফোন করিয়েছে, তারপরে একজন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি আসছে ... সবাই কি ... ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে।

মাননীয় স্পীকার, আমি জাতির কাছেই প্রশ্ন করি, ব্যাংকের এমডিতে কি এত মধু ছিল যে ওইটুকু উনার না হলে চলত না? সে তো নোবেল প্রাইজ পেয়েছে। তো আমি জিজ্ঞেস করলাম নোবেল প্রাইজ যে পায় সে এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন? সেটা আমার মনে হয় সকলের একটু চিন্তা করে দেখা উচিত।

এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যাতে টাকাটা বন্ধ করে, তার জন্য বারবার ইমেইল পাঠানো, হিলারির সঙ্গে দেখা করা, এর ফাঁক দিয়ে ইমেইল পাঠানো এবং তার সঙ্গে আমাদের একজন সম্পাদকও খুব ভালোভাবে জড়িত ছিল। কাজেই একটা কথা হচ্ছে যে এদের মধ্যে কি কোন দেশপ্রেম আছে?

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অধ্যাপক ইউনূসের অপসারণের সংবাদটি বিশ্বব্যাপী সংবাদে পরিণত হয়েছিল। তবে তা এ কারণে নয় যে তিনি এ পদে থাকতে চেয়েছিলেন। বরং এ কারণে যে বিশ্বব্যাপী গ্রামীণ দর্শন ও এর কর্মপদ্ধতির অনুরাগী ও অনুসরণকারীদের বিশাল কমিউনিটির কাছে এটি ছিল অত্যন্ত অবিশ্বাস্য ও হতবুদ্ধিকর একটি ঘটনা। তারা বিভিন্নভাবে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। তারা অধ্যাপক ইউনূসকে তার পদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না, তারা এটা দেখতে চাইছিলেন যে, গ্রামীণ কর্মসূচিগুলির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। দরিদ্রদের আশার স্থল হিসেবে বিশ্বজুড়ে গ্রামীণ ব্যাংককে কী দৃষ্টিতে দেখা হয় এটি ছিল তারই একটি বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

অধ্যাপক ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তা একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কাহিনী। দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে বিশ্ব ব্যাংকের সতর্কসংকেতের ঘটনা একই সময়ে ঘটেছিল।

একই সময়ে চলমান দুটি আলোচনার বিষয়কে মিশিয়ে ফেলে একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন কাহিনী সৃষ্টি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, অধ্যাপক ইউনূস হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে চক্রান্ত করে বিশ্ব ব্যাংকের উপর চাপ সৃষ্টি করায় পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে অধ্যাপক ইউনূস চাপ প্রয়োগ করেছেন এ বিষয়টি প্রথমবার যখন উল্লেখ করা হয় তখনই অধ্যাপক ইউনূস এ বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট বক্তব্য দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সকল মানুষের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন—এবং তিনিও এ স্বপ্নে বিশ্বাসী। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টির কোনো প্রশ্নই আসে না। অধ্যাপক ইউনূস বলেন 'আজ পদ্মা সেতুর নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ায় দেশের মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত। দেশের সকল মানুষের সঙ্গে আমিও প্রধানমন্ত্রীকে এই ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।

এই কাহিনীতে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে অধ্যাপক ইউনূস পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে তার 'বিশাল প্রভাব' কাজে লাগিয়েছেন। অধ্যাপক ইউনূস বিশ্ব ব্যাংকের উপর সরাসরি চাপ প্রয়োগ না করলেও তিনি তার বন্ধু হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে তা করিয়েছেন। অন্য কথায়, বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক চুক্তি বাতিলের ঘটনায় তার কোনো না কোনো সংযোগ নিশ্চয়ই আছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে, একটি নামকরা সংবাদপত্রের এক সম্পাদক অর্থায়ন বন্ধে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে প্ররোচিত করতে বিশ্ব ব্যাংক কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন। আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত-গ্রহণের কঠিন জগৎ দুই বন্ধুর খেয়াল-খুশী বা একজন পত্রিকা সম্পাদকের সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার উপর নির্ভর করে না। অধ্যাপক ইউনূস যত 'গুরুত্বপূর্ণ' ব্যক্তিই হোন না কেন, তার যত 'প্রভাবশালী বন্ধুই' থাকুক না কেন, একটি ৩০০ কোটি ডলারের প্রকল্প শুধু এ-কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে না যে, তিনি চাইছিলেন এটা বাতিল হয়ে যাক। অভিযোগের জবাবে আবারো বলতে হচ্ছে যে, অধ্যাপক ইউনূস পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির কাছে কখনও কোনো অভিযোগ বা অনু্যোগ জানাননি। সুতরাং বিষয়টি নিতান্তই কল্পনা প্রসূত।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

কিন্তু গরিবের কাছ থেকে প্রায় ৪৭ ভাগ সে ইন্টারেস্ট নিত। এটি হচ্ছে সব থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয়।

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

এ বক্তব্য মোটেই সঠিক নয়। ব্যবসা ঋণের উপর গ্রামীণ ব্যাংকের সুদ বরাবরই ২০ শতাংশ যা একটি ক্রমহ্রাসমান সরল সুদ। এটা কখনো কোন উপলক্ষে বাড়ানো হয়নি। বলা বাহুল্য মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি মাইক্রোক্রেডিটের সর্বোচ্চ সুদের অনুমতি দিয়েছে ২৭ শতাংশ। গ্রামীণ ব্যাংক বরাবরই সরকার নির্ধারিত সুদের হার থেকে অনেক কম সুদে ঋণ দিয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য সুদের হার আরও অনেক কম।

গৃহঋণের উপর ৮ শতাংশ, সদস্যদের ছেলে মেয়ের শিক্ষা ঋণের উপর শিক্ষাকালে শূন্য শতাংশ এবং শিক্ষা সমাপান্তে ৫ শতাংশ, হত-দরিদ্রের জন্য শূন্য শতাংশ। গ্রামীণ ব্যাংকে ৪৭ শতাংশ সুদ কখনো ছিল না এখনো নেই।

তাছাড়া যেকোনো ব্যাংকের সুদ আয়ের উপর যে লাভ হয় তার ভাগীদার হন মালিকগণ। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ২৫ শতাংশ সরকার আর ৭৫ শতাংশ গরিব সদস্যরা। তাই সরকার ও সদস্যরা নিয়মিত লাভ পেয়ে আসছেন। অধ্যাপক ইউনূসের এতে একটাও শেয়ার নেই। তাই ৪৭ শতাংশ সুদ নিয়ে কাউকে ঠকানোর কোনো সুযোগই তার নেই।

অধ্যাপক ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণের পরও এই ঋণ-নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা, সব কিন্তু সে নিজে খেয়ে গেছে। নইলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে-বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে?

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো টাকা 'খেয়ে' ফেলেননি। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার কর্মকালে তার বেতনের বাইরে তিনি আর কোনো অর্থ ব্যাংক থেকে গ্রহণ করেননি। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্যও কোন সময় তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো টাকা খরচ করেননি। দেশে ও দেশের বাইরে বিনিয়োগ করতে তিনি ব্যাংকের টাকা নিয়েছেন বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অসত্য।

বর্তমান সরকার দেশের সমস্ত ব্যাংকের সকল শাখা থেকে তার ব্যাংক হিসাবগুলো তদন্ত করে দেখতে আদেশ দিয়েছিল। গণমাধ্যমে এই আদেশ ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল। তার ট্যাক্স রিটার্নগুলো বহুবার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এই সংবাদও দেশব্যাপী প্রচার করা হয়েছে। এসব তদন্তে কোন কর্তৃপক্ষ কোনো অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে এরকম কোনো সংবাদ আমরা কখনো পাইনি। গ্রামীণ ব্যাংকের অনিয়ম খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে সরকারের তৈরি একটি রিভিউ কমিটি ও একটি কমিশন বহু চেষ্টা করেও অর্থ অপসারণের কোনো তথ্য বের করতে পারেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের সব হিসাব ও আর্থিক বিষয়াদি নিরীক্ষা করে দেখে। এর কোনো রিপোর্টে অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কোনো টাকা সরিয়েছেন এমন কোনো কথা বলা হয়নি। মিডিয়াতেও এ ধরনের কোনো রিপোর্ট কখনো আসেনি।

অধ্যাপক ইউনূস নিয়মিতভাবে তার কর পরিশোধ করেন এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেন।

অধ্যাপক ইউনূসের আয়ের উৎস:

অধ্যাপক ইউনূসের আয়ের উৎস তিনটি: ১) বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সম্মেলনে বক্তা হিসেবে প্রদত্ত ভাষণের জন্য লেকচার ফি। তিনি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী ফি প্রাপ্ত বক্তাদের অন্যতম। তার আয়ের প্রধান উৎস এটি। ২) পৃথিবীর ২৫টি ভাষায় প্রকাশিত তার বইগুলির রয়্যালটি। তার বইগুলির মধ্যে কোন কোনটি নিউইয়র্ক টাইমস-এর বেস্ট সেলার তালিকাভুক্ত। ৩) প্রথম ও দ্বিতীয় উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে রেখে তা থেকে আয়।

প্রথম ও দ্বিতীয় উৎস থেকে প্রতিটি প্রাপ্তির তথ্য কর কর্তৃপক্ষের নিকট নিয়মিত জমা দেওয়া হয়। সুতরাং তার আয়ের উৎস সম্বন্ধে কিছু না জানার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।

তার লেকচার ও বই থেকে প্রাপ্ত সমস্ত আয় তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে গ্রহণ করেন। ব্যাংকগুলি থেকে পাওয়া এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট কর কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেওয়া হয়। ফলে তার আয়ের উৎস সরকারের অজানা একথা একেবারেই সত্য নয়। অধ্যাপক ইউনূস তার টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসাবে রাখেন। তিনি কখনোই স্টক বা শেয়ারে কোনো রকম বিনিয়োগ করেন না। পৃথিবীর কোথাও কোনো কোম্পানিতে তার কোনো শেয়ার নেই।

পৃথিবীর অনেক দেশের সরকার, করপোরেশন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবী সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ অধ্যাপক ইউনূসের দর্শন ও প্রায়োগিক কর্মসূচিতে অনুপ্রাণিত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন। এঁদের অনেকে অধ্যাপক ইউনূসের দর্শন ও ব্যবসায়িক কাঠামোর প্রতি তাদের সার্বিক ঐকমত্য প্রকাশ করতে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে 'ইউনূস' বা 'গ্রামীণ' নাম যোগ করে পরিচিতি দেন। তাদের ব্যবসায়ে এই নামগুলির ব্যবহার শুধু ইউনূসের দর্শনের প্রতি উদ্যোক্তাদের একনিষ্ঠতার বহিঃপ্রকাশমাত্র। এগুলি কোনোভাবেই এই ব্যবসাগুলিতে ইউনূস বা গ্রামীণের মালিকানার পরিচয় বহন করে না। তাদের ব্যবসাগুলি তাদের স্ব-স্ব দেশের আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত। এদের অর্থায়নও হয় উদ্যোক্তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী। এসব ব্যবসার কোনোটিতেই অধ্যাপক ইউনূসের কোনো বিনিয়োগ নেই। এই ব্যবসাগুলির কোনো কোনোটি পরবর্তীতে মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে। তারা তাদের সফলতার কথা গর্বের সঙ্গে বিশ্ববাসীর কাছে যখন তুলে ধরে তখন তাদের সামাজিক সমস্যাগুলি সমাধানের পথ বের করার উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকে পাওয়া তাত্ত্বিক কাঠামো এবং অভিজ্ঞতার জন্য সব সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাপী তার দর্শন ছড়িয়ে দেন, টাকা নয়। তিনি অনেকবার বলেছেন যে, পৃথিবীর কোথাও কোনো কোম্পানিতে তার কোনো শেয়ার নেই, পৃথিবীর কোথাও কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তিনি কোনো বিনিয়োগ করেননি।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে তিন লক্ষ ডলার সে কিভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কিভাবে দিল? সেটা তো কেউ খোঁজ করল না!

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

অধ্যাপক ইউনূস কখনোই ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে কোনো অনুদান দেননি। অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

গ্রামীণফোন যখন নেন তখন বলেছিল যে গ্রামীণফোন থেকে যে লভ্যাংশ সেটা গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে এবং ওইটা দিয়ে ব্যাংক চলবে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন আজ পর্যন্ত কোনদিন গ্রামীণফোনের একটি টাকাও সে গ্রামীণ ব্যাংকে দেয়নি।

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে গ্রামীণ ব্যাংককে লভ্যাংশ প্রদান করার এ ধরনের কোনো কথা ছিল না। গ্রামীণ ব্যাংক এই জয়েন্ট ভেঞ্চারের কোনো পক্ষ ছিল না।

এই জয়েন্ট ভেঞ্চার গ্রামীণফোনের প্রধান অংশীদার নরওয়ের কোম্পানি টেলিনর, যা নরওয়ে সরকারের মালিকানাধীন। গ্রামীণফোনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার গ্রামীণ টেলিকম যা কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় নিবন্ধনকৃত একটি অলাভজনক কোম্পানি যার কোনো ব্যক্তি মালিক নেই। গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ টেলিকম দুইটি পৃথক আইনগত সত্তা। গ্রামীণফোন একটি পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানি।

গ্রামীণ টেলিকম সরোস ফাউন্ডেশন থেকে ধার করা টাকা গ্রামীণফোনে বিনিয়োগ করেছিল।

অধ্যাপক ইউনূস কোনোকালেই গ্রামীণফোনের কোনো শেয়ারের মালিক ছিলেন না, এখনো তার কোনো শেয়ার নেই। শেয়ার কেনার কোনো ইচ্ছাও তার কখনো ছিল না।

গ্রামীণ টেলিকম দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের কাছে গ্রামাঞ্চলে ফোন সার্ভিস বিক্রি করতে 'পল্লী ফোন কর্মসূচি' চালু করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে গ্রামীণ টেলিকমই প্রথম কোম্পানি যা দরিদ্র মানুষের কাছে, বিশেষ করে দরিদ্র নারীদের কাছে এবং গ্রামাঞ্চলে টেলিফোন সেবা পৌঁছে দিয়েছে। 'পল্লী ফোন কর্মসূচি' থেকে লাখ লাখ নারী উল্লেখযোগ্য আয় করতে পেরেছেন। কর্মসূচিটির তাৎপর্যের কারণে এটি প্রযুক্তির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গ্রামীণ টেলিকমের 'পল্লী ফোন কর্মসূচি' গ্লাসগো প্রযুক্তি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই প্রযুক্তি জাদুঘরে স্থান পাওয়াটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। গ্রামীণফোনের যুগান্তকারী কাজের ফলস্বরূপ দেশের সর্বত্র এমনটি দরিদ্রতম মানুষটির কাছেও টেলিফোন সেবা পৌঁছে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

যখন আমরা ডিজিটাল সিস্টেম নিয়ে এলাম। টেলিকমিউনিকেশন, আগে সব এনালগ ছিল এবং মোবাইল ফোনের ব্যবসা দিয়ে দিলাম প্রাইভেট সেক্টরে, তাকেও একটা মোবাইল ফোনের ব্যবসা দেওয়া হলো। আরও যে দুটো আমরা দিয়েছিলাম তাদের আমরা বেশি সুযোগ দেইনি কিন্তু গ্রামীণ ফোনের জন্য রেলওয়ে অপটিক ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করার সুযোগ আমরা দিয়েছিলাম।

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

রেলওয়েকে তৎকালীণ সময়ে ফাইবার অপটিকস নরওয়ে অনুদান হিসেবে দিয়েছিল। রেলওয়ে তার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে পারছিল না। অথচ জনবল ও ক্যাবল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিনিয়ত বিপুল খরচ চালিয়ে যেতে হচ্ছিল। রেলওয়ে খরচ সাশ্রয়ের জন্য তখন গ্রামীণফোনের সঙ্গে একটা লিজ চুক্তি করে। এটা একটা বাণিজ্যিক চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে রেলওয়ের এ কাজে নিয়োজিত সব লোকবলের দায়িত্ব গ্রামীণফোনের কাছে ন্যস্ত করে দেওয়া হয়।

গ্রামীণফোন দেশের সবচেয়ে বৃহৎ মোবাইল ফোন কোম্পানি। ২৫ বছর পরে সব দেখে এখন সবাই বলবে গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স দিয়ে সরকার সঠিক কাজ করেছে। লাইসেন্স ন্যায্যত তাদেরই প্রাপ্য ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ:

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো একটি ফাউন্ডেশনে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ দিয়েছিলেন—এক আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য সম্প্রতি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত হবে কি না—এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সাংবাদিক। আপনারাও তো তদন্ত করতে পারেন, কিন্তু করেন না। আপনারা তদন্ত করুন। একজন ব্যাংকের এমডি হয়ে কোনো ফাউন্ডেশনে এত অর্থ কীভাবে দেন? আপনারা অনুসন্ধান করুন। আমি (তদন্ত) করতে গেলে তো আবার বলবেন প্রতিহিংসাপরায়ণ। তাই আপনারা খুঁজে বের করলেই ভালো হয়। ড. ইউনূসের আর্থিক অনিয়ম নিয়ে আরও অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোন ব্যাংকে কত টাকা আছে, কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা সরিয়ে নিয়েছেন, সেগুলো খুঁজে বের করুন। কোনো ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট করে তার টাকা কীভাবে ব্যক্তিগত হিসাবে চলে যায়? এক চেকে ৬ কোটি টাকা তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করে, সেই টাকা উধাও (ভ্যানিশ) করে দেওয়া হলো! এসব বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বেশিদিন আগের কথা তো নয়। ২০২০ সালের কথা। অ্যাকাউন্ট নম্বর তো আছেই। আপনারা অনুসন্ধান করুন, তথ্য বের করুন। তারপর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা নেব।

ইউনূস সেন্টারের জবাব:

কোনো ট্রাস্ট থেকে ৬ কোটি টাকা বা অন্য কোনো অংকের টাকা ২০২০ সালে বা অন্য কোনো সময় অধ্যাপক ইউনূসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়নি। তিনি কোন ফাউন্ডেশনে ৬ মিলিয়ন ডলার অনুদানও দেননি। এটা সম্পূর্ণ একটা কল্পনাপ্রসূত এবং মানহানিকর অভিযোগ।

আগেই বলা হয়েছে, সরকার ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো থেকে অধ্যাপক ইউনূসের ব্যাংকিং বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করেছে তাই সকল তথ্যই সরকারের কাছে আছে।

সম্পর্কিত বিষয়:
প্রধানমন্ত্রীড. মুহাম্মদ ইউনূস
Apple Google
Click to comment

Comments

Comments Policy

সম্পর্কিত খবর

১ সপ্তাহ আগে | বাংলাদেশ

‘৪০ জনের নাম খয়রাত করে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন’

শেখ হাসিনা
১ সপ্তাহ আগে | বাংলাদেশ

দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

৩ সপ্তাহ আগে | রাজনীতি

বিএনপি জনগণকে নির্যাতন ও লুটপাট ছাড়া কিছুই দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

৫ মাস আগে | বাংলাদেশ

জার্মানির মর্যাদাপূর্ণ ‘কার্ল কুবল পুরস্কার’ পেলেন ড. ইউনূস

২ সপ্তাহ আগে | বাংলাদেশ

জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস কাতারের

The Daily Star  | English

Eid Journey: All advance train tickets to be sold online

Bangladesh Railway is going to sell all of the advance Eid tickets of intercity trains online.

2h ago

5G will come when time is right

12m ago
The Daily Star
সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
© 2023 thedailystar.net | Powered by: RSI LAB
Copyright: Any unauthorized use or reproduction of The Daily Star content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.