প্রয়োজন হলে অবশ্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তন আসবে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। স্টার ফাইল ছবি

প্রয়োজন হলে সরকার অবশ্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তন আনবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, 'এর আগে এই আইনের কিছুটা অপব্যবহার হয়েছে। আইনটির সর্বোত্তম প্রয়োগ নিশ্চিতে প্রয়োজন হলে সরকার এতে পরিবর্তন আনবে।'

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সর্বোত্তম ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা জানতে আমি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের মাধ্যমে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের (ইউএনএইচআরসি) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি। ইউএনএইচআরসির সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করতে পরে আইন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।'

'কমিটি ইতোমধ্যে ইউএনএইচআরসির সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং শিগগিরই আরেকটি বৈঠক করবে,' বলেন তিনি।

কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর সরকার এই আইনে পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মন্ত্রী আনিসুল হক।

এছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চেয়েছে বলে জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ রোধে সরকার ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমার সামনে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। এই আইনে কেউ মামলা করলে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনের অধীনে পরীক্ষার জন্য আইন বিশ্লেষকের সমন্বয়ে গঠিত সেলে পাঠানো হবে।'

'যদি সেল এটিকে মামলা বলে মনে করে (যথেষ্ট প্রাথমিক প্রমাণ থাকা সাপেক্ষে), তবে সেটি সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হবে। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকলে, তা গ্রহণ করা হবে না,' যোগ করেন তিনি।

এই আইনের অধীনে মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা ইতোমধ্যে কমে এসেছে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'এই আইনে কিছু অজামিনযোগ্য ধারা আছে। তবে তার মানে এই নয় যে আদালত মামলায় আসামিদের জামিন দিতে পারবেন না।'

তিনি বলেন, 'কোনো মামলায় আসামিকে জামিন দেওয়া আদালতের বিবেচনার বিষয়।'

এছাড়া গণমাধ্যমকর্মী আইনটি সাংবাদিকদের সুবিধার জন্যই করা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, 'সুস্থ সাংবাদিকতা বন্ধ করার জন্য বর্তমান সরকার কোনো আইন করেনি, করবেও না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সমাজকে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্যই আইন করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Shows ASK data; experts call for stronger laws, protection

5m ago