বরিশাল-ঢাকা বাসের সংখ্যা বেড়েছে, লঞ্চের কেবিনে যাত্রী কম

পদ্মা সেতু চালু হবার প্রথম দিন বরিশাল থেকে ঢাকায় আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক বাস চলাচল করেছে। লঞ্চের ডেকে যাত্রী হলেও, কেবিনে ছিল না যাত্রীর চাপ।
বরিশাল থেকে আগের চেয়ে বেশি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু চালু হবার প্রথম দিন বরিশাল থেকে ঢাকায় আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক বাস চলাচল করেছে। লঞ্চের ডেকে যাত্রী হলেও, কেবিনে ছিল না যাত্রীর চাপ।

বরিশাল বাস মালিক সমিতির সম্পাদক কিশোর কুমার দে রোববার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার অন্তত ৫০টি নতুন গাড়ি চলছে বরিশাল-ঢাকা রুটে।

বরিশালে গ্রিন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার বাদশা সর্দার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে ঢাকা-বরিশাল রুটে আমাদের ৪টি বাস চলাচল করত। এখন ১২টি বাস চলাচল করছে।'

রাত ৯টা পর্যন্ত ৮টি বাস বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

লঞ্চের ডেকে যাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিক থাকলেও, কেবিনে যাত্রীর চাপ কম ছিল। ছবি: সংগৃহীত

সাকুরা পরিবহনের বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টার ইনচার্জ আকিব হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে ঢাকা-বরিশাল রুটে আমাদের ৩২টি গাড়ি চালু ছিল। আজ রাত ৯টা পর্যন্ত ৪২টি গাড়ি চলেছে।'

ইলিশ পরিবহণের কাউন্টার ইনচার্জ মো. গোলাম হোসেন জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে আসা যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।

অনেক বাসচালক জানান, ঢাকা বরিশাল যেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টা লাগছে।

এদিকে, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে রোববার রাতে যাত্রীর চাপ কম দেখে গেছে।

সরেজমিনে লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সময় কেবিন ভাড়া ১২০০ টাকা হলেও, রোববার রাতে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির কাউন্টার ইনচার্জ দেবাশিস সাহা ডেইলি স্টারকে জানান, ডেকে যাত্রী থাকলেও, কেবিনের যাত্রী কিছুটা কম।

জানতে চাইলে বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাঈদুর রহমান বলেন, 'পদ্মা সেতু চালু হওয়ায়, নৌপথে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। ঈদের সময়ে কী হয়, সেটা দেখেই প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।'

Comments