বরগুনা

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে তরমুজ খেত

নিমতলা গ্রামের ৭টি তরমুজ খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে বরগুনার সদর উপজেলার নিমতলা গ্রামের ৭টি তরমুজ খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

তরমুজ ব্যবসায়ী নাসির খান বলেন, 'আমরা ৩ জন এ বছর ৩০টি তরমুজ খেত কিনেছিলাম। সবগুলো খেতেই ভালো ফলন হয়েছে। তবে, মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে যখন ভালো দাম তখনই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে আমাদের ৭টি খেত তলিয়ে গেছে। হাঁটু পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব খেত থেকে আমরা তরমুজ সংগ্রহ করতে পারছি না। তবুও চেষ্টা করছি বড় সাইজের কিছু তরমুজ বাজারে নেওয়ার জন্য।'

তরমুজ খেত তলিয়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

তিনি আরও বলেন, 'তরমুজ গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না। তাই বৃষ্টির পানিতে খেত তলিয়ে যাওয়ায় গাছগুলো মরে গেছে। এতে আমাদের কমপক্ষে ৭ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।'

আরেক ব্যবসায়ী সোহেল খান বলেন, 'আমরা লাভের আশায় তরমুজ খেত কিনেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে খেত তলিয়ে যাওয়ায় লাভের পরিবর্তে এখন লোকসান গুনতে হবে।'

ব্যবসায় লিমন শরীফ জানান, 'ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টির পানিতে তরমুজ খেত তলিয়ে যাওয়ায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। এ ক্ষতি আর পুষিয়ে ওঠার সুযোগ নেই।'

বড় তরমুজগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

এ বিষয়ে বরগুনার কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. বদরুল আলম বলেন, 'তরমুজের মৌসুম মূলত শেষ হয়ে গেছে। কিছু কিছু চাষি অধিক লাভের আশায় সব তরমুজ একবারে না তুলে ধীরে ধীরে বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। তাদের খেতের তরমুজ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে নষ্ট হতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।'

তিনি আরও বলেন, 'বৃষ্টির পানিতে কিছু কিছু এলাকার মুগ ডাল, মরিচসহ রবি ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে, কী পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হবে তা নিরূপণে আমরা কাজ করছি।'

Comments