‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের মতো এত সহায়তা কেউ করেনি’

ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) সাবেক মহাপরিচালক জয়ন্ত নারায়ণ চৌধুরী দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের ‘অসাধারণ’ সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন।
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) সাবেক মহাপরিচালক জয়ন্ত নারায়ণ চৌধুরী তাদের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের 'অসাধারণ' সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন।

বুধবার কলকাতার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

এনএসজির সাবেক এই মহাপরিচালক বলেছেন, বাংলাদেশের সহায়তার কারণে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো আংশিকভাবে 'নিয়ন্ত্রণ ও দমন' করা গেছে।

দ্য ডেইলি স্টারের নয়া দিল্লি সংবাদদাতা জানান, জয়ন্ত নারায়ণ চৌধুরী বলেছেন, 'সব স্তরে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ ভারতের একটি অসামান্য এবং অসাধারণ অংশীদার। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কেউ বাংলাদেশের মতো এতটা সহায়তা করেনি।' 

নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে ভারতের 'অসামান্য অংশীদার' হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, 'উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আমাদের যত সমস্যা ছিল তা নিয়ন্ত্রণ ও সমাধান করা হয়েছে, আংশিকভাবে সেটা বাংলাদেশের কারণেই হয়েছে। আমরা প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই (বিদ্রোহীদের) আশ্রয়কেন্দ্র খুঁজে বের করতে শুরু করার পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখনো শান্তি বজায় রয়েছে।'

'আমি যখন কলকাতায় ৫-৬ বছরের জন্য পোস্টেড ছিলাম, তখন বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) দেওয়া অনানুষ্ঠানিক সহায়তা... আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই', বলেন মি. চৌধুরী। 

আন্তঃসীমান্ত সংস্কৃতির বিষয় উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সহজ চলাচলের বিষয়েও কথা বলেন।

অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক সর্বজিৎ চক্রবর্তী, যিনি এক সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ অভিন্ন কিছু সমস্যা সমাধান করা করা দরকার। 

'আমাদের এমন কিছু উপায় বের করতে হবে, যাতে মানুষকে খুব বেশি সমস্যা ছাড়াই দু-দেশের মধ্যে চলাচল করতে পারবে।' এ ক্ষেত্রে ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে যাতায়াতের কথা উল্লেখ করেন।'

বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কাউন্সিলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান বলেন, 'দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।' 

Comments