মোবাইল চুরি দেখে ফেলায় খুন হন তৌহিদ
ময়মনসিংহ নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় মোবাইল চুরি দেখে ফেলায় চোরের রডের আঘাতে নিহত হন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান (২৫)।
গত বছরের ১ মে এ ঘটনা ঘটে এবং এক বছরের বেশি সময় পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর আউটার স্টেডিয়াম এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দু’জনতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- রিফাত (২৩) ও তার সহযোগী মহসিন মিয়া (২৫)।
আজ শনিবার ময়মনসিংহের এক নং আমলি আদালতে হাজির করা হলে আসামি রিফাত নিজেকে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ময়মনসিংহের পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- রিফাত রং মিস্ত্রির কাজ করে। ঘটনার রাতে রিফাত, আশিক, মহসিন ও অন্তর মহসিনের বাসায় ছিল। সেখান আশিক মোবাইল চুরি করতে রিফাত, আশিক ও মহসিন তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার সোলায়মানের বাসায় যায়। ওই বাসার নিচতলার মেসে থাকতেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান। আসামি আশিক তাকে আগে থেকেই চিনত। তারা ছাদ দিয়ে তৌহিদের রুমে যায়। তখন তৌহিদ সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মহসিন তৌহিদের স্মার্ট ফোনটি জানালা দিয়ে নেওয়ার সময় তৌহিদ দেখে ফেলে। এসময় তৌহিদ ঘর থেকে বের হলে আশিক তাকে জাপটে ধরে। রিফাত হাত ধরে। মহসিন লোহার রড দিয়ে তৌহিদের বুকে আঘাত করে। তৌহিদ ডাক চিৎকার শুরু করলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে আহত তৌহিদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ভোরেই তার মৃত্যু হয়।’
এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ দু’মাস তদন্ত শেষে একজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীতে বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে মামলাটির অধিকতর তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইকে। এক বছর তদন্ত শেষে গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই রিফাত ও মহসিনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত তৌহিদুল নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম খানের ছেলে।
Comments