আমি না খেয়ে থাকবো, আপনি বেগমপাড়ায় বাড়ি করবেন সেটা হবে না: ফখরুল

মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের জন্য কিছু করেনি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব কিছু থেকে এ দেশের শ্রমিকরা বঞ্চিত।

আজ রোববার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এই র‌্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে।

ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা শ্রমিক শ্রেণিসহ দেশের সব মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। আপনারা ইচ্ছা করলেই সমাবেশ করতে পারেন না। আপনারা ইচ্ছা করলেই ইউনিয়ন করতে পারেন না। রানা প্লাজার শ্রমিক নিহত হয়েছেন, এখন পর্যন্ত বিচার হয়নি। তাদের ন্যায্য পাওনা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, সারা দেশে আমাদের শ্রমিক ভাইরা ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে আকাশচুম্বী। চালের দাম বেড়েছে ১০ গুণের মতো। তেলের দাম বেড়েছে, লবণের দাম বেড়েছে। শ্রমিকদের কষ্ট সরকারের কানে যায় না। তারা ন্যায্য মূল্যে শ্রমিকদের, দেশের মানুষদের চাল-ডাল-তেল-লবণ দিতে পারে না। বড় মানুষদের জন্য বড় বড় হাসপাতাল তৈরি করে। কিন্তু গরিব মানুষের জন্য, শ্রমিকদের জন্য কোনো হাসপাতাল তৈরি হয় না। তারা বিনা পয়সায় কোনো চিকিৎসা পায় না। তাদের ছেলে-মেয়েরা ঠিকঠাক শিক্ষা পায় না। সব কিছু থেকে এ দেশের শ্রমিকরা বঞ্চিত। অথচ তাদের রক্ত পানি করা শ্রমে সমস্ত সভ্যতা গড়ে উঠেছে।

আজকে মেগা প্রকল্পের কথা তারা বলে। একইসঙ্গে শ্রমিক ভাইদের জন্য তারা কোনো কিছুই করেনি। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যেতে পারে না। মেগা উন্নয়ন করছেন ভালো কথা, আমি না খেয়ে থাকবো আর আপনি বেগমপাড়ায় অথবা দুবাই-মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ি করবেন সেটা হতে পারে না—বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ করেছিলাম বৈষম্যহীন একটা রাষ্ট্র, মানুষের আয়ের সমতা চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও চরম পরিতাপের সঙ্গে বলতে হয় সেই অধিকারগুলো আমরা পাইনি। এই সরকার সম্পূর্ণভাবে জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। শ্রমিকের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সব অধিকারগুলো তারা হরণ করে নিয়েছে।

এই সরকার সম্পূর্ণভাবে পরনির্ভরশীল হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিজেদের স্বার্থ ছাড়া তারা অন্য কারো স্বার্থ দেখে না। এই রাষ্ট্রকে তারা একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টা করে পারেনি, এখন বলছে ভারতের সহযোগিতা নিয়ে তারা এটা প্রত্যাহার করতে চায়। এটা এই জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার একটি বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh per capita debt mounts to $483

The debt is mounting, as it was $257 in 2015-16 fiscal year

9m ago