‘খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই বিপ্লবী আন্দোলনের উজ্জ্বলতম পর্ব’

খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী লড়াই এ দেশের গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসের এক উজ্জ্বলতম পর্ব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ।
ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস উপলক্ষে আজ রোববার বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সিপিবি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শাহীন রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরেও কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেদিনের সেই লড়াই আজও আমাদের পথ দেখায়, উজ্জীবিত করে। খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেরণা।
আলোচনা সভার শুরুতে খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এ সময় খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও পাঠ্যপুস্তকে তাদের বিপ্লবী কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট-রাজবন্দীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে বন্দী অবস্থায় মারা যান কমিউনিস্ট পার্টির সুধীন ধর, বিজন সেন, হানিফ শেখ, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, কম্পরাম সিং ও আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়াও আহত হন আরও ৩২ জন।
Comments