খুলনায় ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ

খুলনার কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির সমাবেশস্থলে চেয়ার ও স্টেজ ভাঙচুর করা হয়। ছবি: হাবিবুর রহমান

খুলনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ।

বিএনপির নেতারা বলেছেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ তাদের ৩৭ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ছিল। সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসছিলেন।

একই সময়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের মিছিল পিকচার প্যালেস মোড়ে এলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা থানার মোড়ে এসে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালান। এ সময় পুলিশকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে তাদের পেটান। এসময় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের দিকে চলে যান। এরপর বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার চলে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ-ছাত্রলীগ এক হয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করেছে। তারা সমাবেশের চেয়ার, স্টেজ ভাঙচুর করেন। তারা তালা ভেঙে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে নেতা-কর্মীদের পিটিয়েছেন। কার্যালয়ের ভেতর থেকে পুলিশ বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক রেহেনা ঈসাসহ ৩৭ জনকে আটক করেছে।

হামলার কথা অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের মিছিলটি পিকচার প্যালেস মোড় অতিক্রম করার সময় বিনা উস্কানিতে ছাত্রদল হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগের প্রায় ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হন। আমরা ভাঙচুর করিনি। বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মীরা চেয়ার-স্টেজ ভাঙচুর করেছে।

খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ভূমিকা রেখেছে। কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ চলছিল। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের সমাবেশ ছিল। পিকচার প্যালেস মোড়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের দুটি মিছিল মুখোমুখি হয়। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের মিছিলে ইটপাটকেল মারলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ১৪ জন পুলিশ সদস্য এবং ৩ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫০টি টিয়ার শেল ও শটগানের ১৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

7h ago