বিএনপি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

বিএনপি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, 'যারা মানুষ হত্যা করেছে এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পানিতে ফেলে হত্যা করতে চায় তাদের কর্মসূচিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাবে না।'

এর আগে সকালে বিএনপিকে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে আমন্ত্রণবার্তা জানায় সরকার।

সকাল ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র দেন সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

'বিএনপির নেতা খালেদা জিয়া'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজ প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিএনপির নেতা নেই, বিএনপি নির্বাচনে জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।'

'নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে হলে আমাদের জবাব খুব পরিষ্কার, আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আমাদের নেতা। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, তিনি আগামীতে প্রধানমন্ত্রী হবেন। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। এখানে আমাদের দলে নেতৃত্বের কোনো সমস্যা নেই। এটা পুরোপুরিভাবে নির্ধারিত। বিএনপিতে কোনো নেতৃত্বের সংকট নেই।'

তিনি বলেন, 'বরং উনাদের সংকট আছে। একমাত্র হাসিনা ছাড়া তো তাদের কেউ নেই। তাদের সংকট তো বেশি। উনি চলে গেলে কে (নেতা) হবেন?'

'তারেক রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব যুক্তরাজ্যে অ্যাসাইলামে (রাজনৈতিক আশ্রয়) আছেন। তিনি কোনো নাগরিকত্ব চাননি, ব্রিটেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনও করেননি।'

তিনি আরও বলেন, 'অ্যাসাইলাম ছাড়া তো উপায় নেই। কারণ এরা (সরকার) পাসপোর্ট নবায়ন করে না।  সুতরাং এই সমস্ত মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

4h ago