‘রাণী’ মারা গেছে, স্বীকার করলো খামার কর্তৃপক্ষ

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অপেক্ষায় থাকা সাভারের 'রাণী' নামের ২০ ইঞ্চি উচ্চতা ও ২৬ কেজি ওজনের খর্বাকৃতির গরুটি মারা গেছে বলে জানিয়েছে শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট কর্তৃপক্ষ।
গতকাল দুপুর ২টার পর 'রাণী'র মৃত্যুর সংবাদ সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় নিশ্চিত করার পরপরই প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে সবাই এর মৃত্যুর সংবাদটিকে 'গুজব' বলে দাবি করেন।
এরপর রাত ৯টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে এর নির্বাহী পরিচালক মুজতাবা আবুল আহাদ 'রাণী'র মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে পোস্ট দেন।
তিনি লিখেন, 'পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই মারা গেল শিকড় এগ্রো'র "রাণী"।'
তিনি জানিয়েছেন, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তৃতীয় ইমেইলের উত্তর দেওয়ার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা শিকড় এগ্রো'র সাভার শাখায় যান।
তিনি আরও জানান, ছবি তোলার সময় অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে পেট ফোলা নজরে আসায় তাদের পশু চিকিৎসক আতিকুজ্জামানের পরামর্শে তৎক্ষণাৎ 'রাণী'কে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা 'রাণী'র সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। 'রাণী' কিছুক্ষণ ভালো থাকার পর মারা যায়।
চিকিৎসা চলাকালে জীবিত থাকা অবস্থায়ই 'রাণী'র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি তার পোস্টে মন্তব্য করেছেন।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'রাণী'র মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে বলেও তিনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে, গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে 'রাণী'র মৃত্যুর সংবাদ দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন সাভার উপজেলার উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব।
তিনি জানিয়েছিলেন, দুই দিন আগে গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেলা দেড়টার দিকে 'রাণী'কে প্রাণিসম্পদ অফিসে আনা হয়। সেসময় পশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু, 'রাণী'কে আর বাঁচানো যায়নি।
এরপর যোগাযোগ করা হলে শিকড় এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) এমএ হাসান মামুন ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন, 'রাণী'র মৃত্যু নিয়ে যে সংবাদ ছড়িয়েছে তা গুজব। চুরি যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় তাকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
Comments