শহিদুল আলমকে ‌‌সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস লন্ডন

আলোকচিত্র এবং আন্দোলনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস লন্ডন।
শহিদুল আলম। ছবি: রেহনুমা আহমেদ

আলোকচিত্র এবং আন্দোলনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস লন্ডন।

আজ শুক্রবার লন্ডনের রয়েল ফেস্টিভ্যাল হলে ইউএএলের চ্যান্সেলর টার্নার পুরস্কার বিজয়ী গ্যারিসন পেরি তার হাতে এই ডক্টরেট ডিগ্রি তুলে দেন। 

অনুষ্ঠানে ড. আলমের পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. কাজী নাজমা করিম, ব্যারিস্টার রুপার্ট গ্রে, ডা. দিলরুবা করিম এবং সোফিয়া করিম। 

আলম তার পুরষ্কার গ্রহণের বক্তব্যে উদীয়মান গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'উদাসীনতার বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং প্রকৃতপক্ষে লড়াই করার একমাত্র উপায় হলো এমন ভালো কাজ তৈরি করা, যার কারণে আপনাকে উপেক্ষা করা যাবে না এবং সেই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। এটিই আপনার সেরা অস্ত্র, এটিই আপনার সুরক্ষা কবচ।' 

শহিদুল আলম একইসঙ্গে দৃক পিকচার লাইব্রেরি, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও মেজরিটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা। 

শহিদুল আলম ১৯৮৩ সালে লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজ থেকে জৈব রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। 

আলম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক শিল্পকলা পদক (২০১৪) এবং লুসি ফাউন্ডেশন থেকে হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড (২০১৮)-সহ বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। আলম কারাগারে থাকাকালীন সাহিত্য তাত্ত্বিক এবং নারীবাদী সমালোচক অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক তার পক্ষে লুসি ফাউন্ডেশনের পুরষ্কারটি গ্রহণ করেন। 

বর্তমানে ৩টি পৃথক মহাদেশে আলমের ৩টি প্রদর্শনী হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে রাইটউড ৬৫৯-এ 'উই শ্যাল ডিফাই', জার্মানিতে ডকুমেন্টা ১৫-এর অংশ হিসেবে কুন্সথাউস গটিংগেনে 'টকিং টু মাই আর্কাইভ' এবং ভারতের কলকাতার ইমামি আর্ট-এ 'সিন্জডবাট নট বার্নড'। 

বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা স্টাইডেল 'টকিং টু মাই আর্কাইভ' বই আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছে। 

ড. আলম বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। কুখ্যাত আইসিটি আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে আলমের সর্বনিম্ন ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

Comments