শেখ হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন ‘উইশ লিস্টে’ আছে: পররাষ্ট্রসচিব

হাসিনা-মোদি
শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে যাবেন। এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। তবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন সেখানে 'উইশ লিস্টে' আছে।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, 'আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় আমরা বোঝার চেষ্টা করব আমরা কী করতে পারি। তবে এটি (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) উইশ লিস্টে আছে।'

রোববার ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করতে পারেন। ওই প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রসচিব এ মন্তব্য করেন।

রোববার দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একটি যৌথ অংশীদারত্ব। যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিটি নাম হলো- বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসি)।

খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের যে কোনো সময় ভারত সফর করবেন এবং ২-৩ দিন থাকবেন। মোদি সরকার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে কেননা ঢাকা ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তীর স্মরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২২ সালে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।

গত ১৯ জুন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়।

আইটি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতেও একমত হয় দুই দেশ।

গত বছর উচ্চ পর্যায়ের সফরসহ একাধিক সম্পৃক্তার মাধ্যমে সম্পর্কের গতি প্রত্যক্ষ করেছে দুই দেশ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ গত বছরের ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগদানের জন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।

গত বছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশ সফর করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Tax-free income limit may rise to Tk 3.75 lakh

The government is planning a series of measures in the upcoming national budget to alleviate the tax pressure on individuals and businesses, including raising the tax-free income threshold and relaxing certain compliance requirements.

11h ago