সাপ আতঙ্কে দিন কাটছে কংজুরির বাসিন্দাদের
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী কংজুরি গ্রামের বাসিন্দারা কয়েক মাস ধরে সাপের আতঙ্কে আছেন বলে দাবি করছেন।
কংজুরি গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা সুশান্ত দাশগুপ্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে সাপে কেটেছে। সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে আমার বাড়ির জানালায় নেট লাগিয়েছি। বাড়ির চারদিকে এসিড রেখেছি।'
আরেক বাসিন্দা বলেন, 'পুকুর পরিষ্কার করতে গিয়ে আমার স্বামী বাসুদেব পালকে সাপে কেটেছিল। আমরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।'
পূর্ণিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'কিছুদিন আগে রান্না ঘরে চা বানাতে দিয়ে হটাৎ দেখি পাশে সাপ বসে আছে। গ্রামের পাশেই পুরনো রায়খালী খাল খননের পর থেকেই লোকালয়ে সাপের উপদ্রপ বেড়েছে।'
খালপাড়ের ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করায় সাপের বাসস্থান নষ্ট হয়েছে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এই প্রতিবেদক ওই গ্রামে গেলে গ্রামবাসীরা ধান খেতের আইলে এবং ঝোপের পাশে কয়েকটি পড়ে থাকা সাপের খোলস দেখাতে নিয়ে যান।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বলেন, 'খালের পাশের বন ধ্বংসের কারণে হয়তো কিছু সাপ লোকালয়ে চলে এসেছে। তবে, বিষয়টি যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে পরিস্থিতি তেমন না।'
তিনি আরও বলেন, 'আপাতত খাল খনন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, বিষয়টি যেভাবে গণমাধ্যমে আসছে পরিস্থিতি ততোটা গুরুতর নয়।'
বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম বলেন, 'কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (বিএডিসি) গ্রামের পাশের রাইখালী খাল খনন করছে। খাল খননের অংশ হিসেবে তারা খালপাড়ের ঝোপ-ঝাড় কেটে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের আবাসস্থল নষ্ট করেছে।'
বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী জাবেদ হোসাইন বলেন, 'খাল খনন করার সময় খালের পাশের ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করতে হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে সাপের আবাসস্থল নষ্ট হয়নি।'
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুল আউয়াল বলেন, 'এলাকাটি সাপের বসবাসের একটি উপযুক্ত স্থান। স্থানীয়দের অসচেতনার কারণে সাপের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হচ্ছে।'
Comments