সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিল সংসদে

জাতীয় সংসদে উঠলো বহুল আলোচিত 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২'। আজ রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইনের খসড়া উত্থাপন করেন।
বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটি তাদের মতামত জানাবে।
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইসি গঠনে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগকে আইনি ভিত্তি দিতে বিলটি আনা হয়েছে।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বিলের বিরোধিতা করে বলেন, প্রস্তাবিত খসড়া বিলটি 'সার্চ কমিটি বিল' ছাড়া কিছু না। এতে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বিলে নতুন কিছু নেই। প্রস্তাবিত বিলকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন রয়েছে এবং প্রস্তাবিত আইন বর্তমান সংকট দূর করতে সক্ষম হবে না।
এ সময় তিনি প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে একটি আইনের খসড়া তৈরির আহ্বান জানান।
এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়া সংবিধানের আলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
হারুনুর রশিদের অভিযোগ অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা প্রস্তাবিত আইন না পড়েই অভিযোগ তুলছেন। আসলে তারা নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু করতে চান। প্রস্তাবিত আইনে সার্চ কমিটির স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, নেপাল, ভূটান এবং বিভিন্ন দেশের চেয়ে আমাদের প্রস্তাবিত আইন বেশি ভালো। কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো এত স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে না।
গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা বিলটির অনুমোদন দেয়।
Comments