সিডিএ’র খাল খননে হেলে পড়েছে একাধিক স্থাপনা

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) খাল খননের ফলে মাঝিরঘাট এলাকার ফকিরপাড়ায় বেশ কয়েকটি স্থাপনা হেলে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সোমবার রাত ৯টার দিকে ভবনগুলো হেলে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা রনি দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাঝিরঘাট এলাকার ফকিরপাড়ায় সিডিএ'র গুলজার খাল খননের ফলে ৩টি ভবন, ৫টি আধা পাকা বাড়ি ও একটি মন্দির হেলে পড়েছে।'
তবে, চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাঝিরঘাটে খাল খননের কারণে একটি ৩ তলা ভবন ও একটি মন্দির হেলে পড়েছে।'
স্বপন দাস নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, 'আমাদের বাড়িঘর ও মন্দির হেলে পড়ার পরও সিডিএ তাদের কাজ বন্ধ করেনি।'
তিনি বলেন, 'আমরা ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে বসবাস করছি। আমাদের জমির কাগজপত্র আছে। সিডিএ থেকে অনুমোদন নিয়ে প্রায় ২ বছর আগে ভবনটি নির্মাণ করেছি। স্বপন তার জমির কাগজপত্রও দেখান এই প্রতিবেদককে।
পুনম দাস নামে আরও একজন ভুক্তভোগী বলেন, 'আমরা প্রতিবাদ করলে সিডিএ'র লোকজন আমাদের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন।'

আজ দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকশ মানুষ মাঝিরহাটে জড়ো হয়ে সিডিএর খাল খননের প্রতিবাদ জানালেও তারা খনন কাজ অব্যাহত রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া ১১০ বছর বয়সী কল্পনা দাস বলেন, 'এটা আমাদের দেশ। তারা আমাদের বাড়ির ক্ষতি করেছে এবং আমাদের ভারতে যেতে বলেছে। এটা অন্যায়। আমরা ভারতে যেতে চাই না। সরকারের উচিত আমাদের রক্ষা করা।'
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছি।'
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল রাতে মাঝিরঘাট এলাকায় খাল খননের পর দুটি ভবন, ৫টি সেমি পাকা বাড়ি এবং একটি মন্দির হেলে পড়েছে বলে জানতে পেরেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছি এবং স্থানীয়দের ক্ষতিগ্রস্থ ভবন ও বাড়িঘর থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছি।'
এই ব্যাপারে জানতে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসকে ফোন করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা কাউকে ভারতে চলে যেতে বলিনি। এটা সরকারের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা এটা বলে থাকতে পারেন।'
ওই প্রকৌশলী আরও বলেন, 'ভবনগুলোর মালিকরা অবৈধভাবে খালের পাড় দখল করে বাড়িগুলো নির্মাণ করেছেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।'
Comments