সিরাজগঞ্জ

খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা, গ্রামবাসীর প্রতিবাদ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বলদিপারা গ্রামে খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
খেলার মাঠ নষ্ট করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়ায় গ্রামবাসীর প্রতিবাদ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বলদিপারা গ্রামে খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

খেলার মাঠ নষ্ট করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছে বলদিপারা ও আশেপাশের গ্রামের বিক্ষুব্ধরা।

স্থানীয়রা জানান, বলদিপারা গ্রামের এ খেলার মাঠে প্রায় ১০০ বছর ধরে বলদিপারা আশেপাশের আরও ৩ গ্রামের শিশু, তরুণ এবং বয়স্করাও খেলাধুলা করে আসছে। এ ৪ গ্রামের মধ্যে এটিই একমাত্র খেলার মাঠ। 

তবে সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন খেলার মাঠ দখল করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসীরা।

বলদিপারা ও আশেপাশের গ্রামের বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

বলদিপারা গ্রামের বাসিন্দা মো. রওশন আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের বিরোধিতা করছি না। গ্রামের প্রাচীন এ খেলার মাঠ রক্ষা করতে কয়েক গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়েছি।'

'আশ্রয়ণ প্রকল্প হোক তা আমরাও চাই, কিন্তু গ্রামের খেলার মাঠ ধ্বংস করে প্রকল্প না করার দাবিতে গ্রামবাসীরা মানববন্ধন করেছে,' বলেন তিনি।

খেলার মাঠে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ বন্ধ করার দাবিতে গ্রামবাসীরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বলে জানান তিনি।

খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্প নেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তারিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যখন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় তখন ওই জায়গার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। উপযুক্ত হওয়ায় এ স্থানটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।'

ইউএনও বলেন, 'বলদিপারার এ মাঠটি এ এলাকার সরকারি খাস সম্পত্তি। এছাড়া কাগজপত্রে জমির শ্রেণী পতিত উল্লেখ করা আছে। সেখানে খেলার মাঠের কথা উল্লেখ নেই।'

কাগজপত্র দেখে জায়গাটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপযোগী হওয়ায় প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, 'এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments