অদ্ভুত কিছু পাখির বাসা

পাখির বাসা—শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে গাছের ডালে খড়কুটোয় তৈরি এক ধরনের শিল্পকর্ম। প্রায় প্রতিটি পাখিই কিছুটা ভিন্নভাবে ঘর তৈরি করে, অথবা মানুষের তৈরি ঘরেও আশ্রয় নেয়। তবে, কয়েকটি পাখির তৈরি অদ্ভুত বাসা দেখলে বেশ অবাকই হতে হয়।
টেইলরবার্ডের 'দর্জিবাড়ি'
গানের পাখি টেইলরবার্ড এক ধরনের সূক্ষ্ম সুতো দিয়ে গাছের পাতায় নিজেকে মুড়িয়ে তৈরি করে শখের বাসা। পাতা সেলাইয়ের পর তৈরি করে বাসার ছাদও, যাতে তার ছানারা বৃষ্টির পানি থেকে নিরাপদে থাকে।

লালায় তৈরি 'সুইফটলেট'
দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পাখির তৈরি বাসা থেকে বানানো হয় স্যুপ। এই বাসা তৈরিতে পাখিরা ব্যবহার করে তাদের লালা। আর তা দিয়ে সৃষ্টি হয় পাখির শক্তপোক্ত ঘর। অবাক করার মতো বিষয় হলো, মালয়েশিয়ায় এই বাসার স্যুপ খাওয়ার জন্য বহুতল ভবনও তৈরি করা হয়। আর প্রায় ৩০ হাজার সুইফটলেট বাসা থেকে আয় হয় ৪ শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত।

উইভারের 'অ্যাপার্টমেন্ট'
অন্য পাখিরা যেখানে আলাদাভাবে বাসা তৈরিতে বেশি আগ্রহী। সেখানে উইভার পাখিরা মানুষের মতো অনেক মিলে তৈরি করে বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট। যেখানে একসঙ্গে বাস করতে পারে অনেক পাখি। এরা পরবর্তীকালে প্রজননেও বেশ ভূমিকা রাখে।

ম্যালিওর 'বালির গর্ত'
ইন্দোনেশিয়ার ম্যালিও পাখিরা মাটির উপরে বাসা তৈরির বদলে বালিতে গর্ত খনন করে। সেখানে ডিম পেড়ে সেগুলো আবার ঢেকে রাখে নিরাপত্তার সুবিধার্থে। এ ক্ষেত্রে বাচ্চা ফোটাতে তারা নির্ভর করে প্রাকৃতিক ভেন্টের তাপমাত্রার ওপর।

ফ্ল্যামিঙ্গোর 'কাদার বাসা'
গোলাপীরঙা ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিরা কাদা দিয়ে তৈরি করে ছোট আগ্নেয়গিরির মতো ১২ ইঞ্চিবিশিষ্ট লম্বা বাসা। যেখানে তাদের ডিমগুলো রক্ষা পায় পরিবেশের বৈরি আবহাওয়া এবং তাপমাত্রার উত্তাপ থেকে।

হামিংবার্ডের 'মাকড়সার জাল'
হামিংবার্ড এবং কিংলেটের মতো ছোট পাখিরা মাকড়সার জাল ব্যবহার করে তৈরি করে নিজেদের বাসা। আরাকনিডের সিল্কগুলো যেমন ওজনে হালকা, তেমনি টেকসইও। জালগুলো এক্ষেত্রে একপ্রকার আঠা হিসেবেও কাজ করে, যাতে পাখির ডিমগুলো আটকে থাকে বাসার মধ্যে।
রিপলি'স বিলিভ ইট অর নট থেকে অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া।
Comments