অস্ট্রেলিয়ায় করোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী

গত এক সপ্তাহ জনসংখ্যার হারের দিক দিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া। 
সেনাবাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত
সেনাবাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

গত এক সপ্তাহ জনসংখ্যার হারের দিক দিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া। 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার ১২ হাজার ৬২৫ জনেরও বেশি নাগরিক করোনাভাইরাসে মারা গেছেন এবং ৫ হাজারেরও বেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৫৯ জন নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।

বার্নেট ইনস্টিটিউটের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মাইক টুল বলেন, 'অস্ট্রেলিয়া সম্ভবত মহামারীর সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে।'

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর কেন্দ্রীয় সরকার মহামারির মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা বাড়ানোর কথা ভাবছে। তবে প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র বয়স্ক পরিচর্যাকেন্দ্রে এই সহায়তা দেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। ছবি: মার্লেসের টুইটার থেকে
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। ছবি: মার্লেসের টুইটার থেকে

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী সপ্তাহে বয়স্ক পরিচর্যা কেন্দ্রে ২০০ জনেরও বেশি সামরিক চিকিৎসাকর্মী মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর ২৪ কর্মী অস্ট্রেলিয়ান বয়স্ক পরিচর্যা কেন্দ্রে সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করছেন।

এ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার বয়স্ক পরিচর্যা কেন্দ্রের ৬ হাজার বাসিন্দা এবং প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কর্মী করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন। ২০২২ সালে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০১ জন বাসিন্দা মারা গেছেন।

পরিস্থিতির মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জনসাধারণের জন্য আবারও মাস্ক বাধ্যতামূলক করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত
সেনাবাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

তাদের অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ানরা মাস্ক পরা এবং অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকারের স্পষ্ট সংকেত পাচ্ছে না।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

 

Comments