পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি

রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া এক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই সইগু ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভকে পুতিন বলেন, 'ন্যাটো জোটের শীর্ষ দেশগুলোর নেতারা আমাদের দশের ব্যাপারে আগ্রাসী মন্তব্য করছেন। আমি তাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক বাহিনীর প্রধানকে নির্দেশ দিচ্ছি "রাশিয়ান আর্মি ডিটারেন্স ফোর্স"কে যুদ্ধাবস্থার সতর্কতায় রাখতে।'

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেআইনি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী বাহিনী সম্পর্কে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, কৌশলগত এই বাহিনীগুলো রাশিয়া ও তার মিত্রদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধ করার উদ্দেশে তৈর হয়েছে। সেই সঙ্গে, পরমাণু অস্ত্রের যুদ্ধে আগ্রাসনকারীদের পরাস্ত করাও এর উদেশ্য।

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে পুতিনের অবস্থান: বিবিসির বিশ্লেষণ

ন্যাটো দেশগুলো থেকে আগ্রাসী বক্তব্য আসতে থাকায় পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রাখার নির্দেশ দিলেন।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর পরই পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, আমাদের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে এমন পরিণতি হবে যা তারা নিজেদের ইতিহাসে কখনো দেখেনি।

এই বক্তব্যকে পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি হিসেবে দেখা হয়। ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলো রুশ বাহিনীকে বাধা দিলে তিনি এই অস্ত্র ব্যবহার করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন। পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি আবার সতর্কবার্তা দিলেন। সতর্ক অবস্থায় থাকার অর্থ এই নয় যে তিনি এই অস্ত্র ব্যবহারের ইচ্ছা রাখেন।

এটা ঠিক যে একক দেশ হিসেবে রাশিয়ারই সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। কিন্তু এটাও সবাই জানে যে আক্রান্ত হলে ন্যাটোও রাশিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো পারমাণবিক অস্ত্র রাখে।

পুতিন চাইছেন, ন্যাটো এই মুহূর্তে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করুক। ইউক্রেনকে দেওয়া কোন মাত্রায় সমর্থনকে তিনি সহ্যের শেষ সীমা মনে করবেন, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করতে তিনি পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলছেন।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago