রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনতে পারে ভারত

রয়টার্স ফাইল ফটো

পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ভারতের। দুই ভারতীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স সোমবার এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

ওই দুই কর্মকর্তা বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দিল্লি তার মূল ব্যবসায়িক অংশীদারের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যেতে চায়।'

'এ অবস্থায় ভারত কিছুটা ছাড়ে অপরিশোধিত তেল এবং অন্যান্য পণ্য কেনা সংক্রান্ত রুশ প্রস্তাবে সম্মতি জানাতে পারে,' বলেন তারা।

ভারত মোট তেলের চাহিদার ৮০ শতাংশ আমদানি করে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে আসে মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত তেলের দাম ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা পূরণে ভারত সরকারকে খরচ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। 

ভারতীয় সরকারের আরেক কর্মকর্তা বলেন, 'রাশিয়া ভালো ডিসকাউন্টে আমাদের তেলসহ অন্যান্য পণ্য কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে পারলে খুশি হব।'

তিনি বলেন, 'এ ধরনের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবহন, বীমা এবং অপরিশোধিত তেলের সঠিক মিশ্রণসহ প্রস্তুতিমূলক বেশ কিছু কাজ করতে হয়। সেগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে ভারত রাশিয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানাবে।'

এই কর্মকর্তারা অবশ্য তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। রাশিয়ার প্রস্তাবে তেলের পরিমাণ বা ছাড়ের পরিমাণ কেমন ছিল তাও উল্লেখ করেননি তারা।

এ বিষয়ে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রয়টার্স ইমেইলে যোগাযোগ করলেও, তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চালিয়ে যেতে রুপি-রুবল ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছে বলেও রয়টার্সের আরেকটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এক কর্মকর্তা জানান, তেল ছাড়াও রাশিয়া ও তার মিত্র বেলারুশের কাছ থেকে সস্তায় সার কেনার চেষ্টা করছে ভারত।

অস্ত্র-গোলাবারুদ থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র-যুদ্ধবিমান পর্যন্ত সব কিছুর জন্য মস্কোর ওপর নির্ভরশীলতার বিষয়টি স্বীকার করে ভারত। তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা আশা করছেন ভারত যতটা সম্ভব রাশিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখবে।

এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত।

ভারতের নিরাপত্তা বিভাগ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, চীনের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক বিরোধ থাকায়, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উন্নত সরঞ্জাম প্রয়োজন। পশ্চিমারা ভারতের এ অবস্থাটা বুঝতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students continue blockade for 2nd day

Jagannath Oikyo has declared the university indefinitely closed

16m ago