রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে: বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রয়টার্স ফাইল ফটো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। খবর বিবিসির।

হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাইডেন।

জো বাইডেন প্রশ্ন করেন, পুতিনকে তার প্রতিবেশীদের অন্তর্ভুক্ত ভূখণ্ডে নতুন তথাকথিত দেশ ঘোষণার অধিকার কে দিয়েছে? এটি 'আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন'।

তিনি বলেন, রাশিয়া যদি আগ্রাসন অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের আরও কঠোর মূল্য দিতে হবে। যার মধ্যে আছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।

নর্ড স্ট্রিম ২ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে জার্মানির সঙ্গে তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইন 'সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না' তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির সঙ্গে কাজ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও অংশীদাররা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। আমরা ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থনে একতাবদ্ধ। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

বাইডেন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার কোনো ইচ্ছা তার নেই। তবে, তিনি ন্যাটোর প্রতিটি ইঞ্চি এলাকা রক্ষার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিচ্ছেন তিনি। তিনি সার্বভৌম ঋণের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। এর অর্থ হচ্ছে পশ্চিমা অর্থায়ন থেকে রুশ সরকারকে বিচ্ছিন্ন করা। তারা আর পশ্চিমাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে তার উদ্যোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র 'নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি' অব্যাহত রাখবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, তিনি পূর্ব ইউরোপের মিত্রদের কাছে মার্কিন বাহিনীর অতিরিক্ত চলাচলের অনুমোদন দিয়েছেন। যে বাহিনী ও সরঞ্জাম ইতোমধ্যে ইউরোপে আছে সেগুলো এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ার বাল্টিক দেশগুলোতে পাঠানো হবে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এগুলো আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।

বাইডেন আরও বলেন, এই স্থাপনার উদ্দেশ্য হচ্ছে মার্কিন মিত্রদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো যে, তারা ন্যাটো ভূখণ্ড রক্ষা করবে এবং চুক্তির প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে।

Comments

The Daily Star  | English

Modi gives forces ‘operational freedom’

Vows ‘crushing blow to terrorism’ after meeting top security brass; Pak FM fears ‘imminent incursion’

30m ago