বর্জ্য চক্র

দেশে ময়লার ভাগাড় ও পানির উৎসগুলোতে প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলার পরিমাণ অতি মাত্রায় বেড়ে গেছে, যার ফলে সার্বিকভাবে দূষণে প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

এই জলবায়ু সহনশীল বর্জ্য উপকরণগুলো কখনো নষ্ট হয় না এবং এগুলো আমাদের খাদ্যচক্রে ঢুকে পড়ছে।

যেহেতু এটি কখনো দ্রবীভূত হয় না, এই প্লাস্টিক বর্জ্য মাটির প্রাকৃতিক গুণাবলী ও উর্বরতাকে ধ্বংস করে।

সময়ের সঙ্গে ক্ষয় হয়ে এটি মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয়ে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯ কেজি আর ইউরোপে ১০০ কেজি।

তবে প্লাস্টিক দূষণের শিকার হওয়া শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। প্লাস্টিক বর্জ্যের অব্যবস্থাপনাই এর জন্য দায়ী।

ছবিতে যে রকম দেখা যাচ্ছে, নিম্ন আয়ের মানুষ ঠিক এভাবেই পুরনো ঢাকার লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও চকবাজারের ময়লার ভাগাড় থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করেন।

এরপর বেসরকারি কারখানাগুলো সেই প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে এবং প্রক্রিয়াজাত করে দানায় রূপান্তরিত করে।

এই প্রক্রিয়াটি বেসরকারি সংস্থা ও দিনমজুরদের ওপর নির্ভরশীল, যারা আবারও এই প্রক্রিয়াজাত করা উপকরণগুলো সংগ্রহ করে বুড়িগঙ্গার তীরে শুকাতে দেন।

Comments