অপারেশন ওমেগা: মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের উদ্যোগ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বহু বিদেশি বন্ধু নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে এসেছেন, দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে। সেই বন্ধুদের কেউ ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে ছুটেছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত জনপদে, কেউ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক সমর্থন জানিয়ে লড়াই করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে, কেউ বা সংবাদপত্রের পাতায় তুলে ধরেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা। আবার কেউ কেউ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রণাঙ্গনে লড়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে।
পিস নিউজে এভাবেই উঠে এসেছিল পাকিস্তানি হানাদারদের হামলায় অসহায় মানুষের চিত্র। সংগৃহীত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বহু বিদেশি বন্ধু নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে এসেছেন, দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে। সেই বন্ধুদের কেউ ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে ছুটেছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত জনপদে, কেউ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক সমর্থন জানিয়ে লড়াই করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে, কেউ বা সংবাদপত্রের পাতায় তুলে ধরেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা। আবার কেউ কেউ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রণাঙ্গনে লড়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের এমন অনেক উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম ছিল 'অপারেশন ওমেগা'। দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য সেই অবিস্মরণীয় উদ্যোগের ২ পর্বের প্রথম পর্ব রইল আজ। 

অপারেশন ওমেগা কী? 

অপারেশন শব্দটা শুনলেই সবার চোখে ভেসে উঠে দুর্ধর্ষ কোনো আক্রমণের দৃশ্য। কিন্তু 'অপারেশন ওমেগা'ছিল ভিন্ন ধরনের। এই অপারেশন ছিল মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ব্রিটিশ পত্রিকার সম্পাদক সমাজসেবক রজার মুডির অসামান্য উদ্যোগ। অপারেশন ওমেগা ছিল এক মানবতার গল্প, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস।

যেভাবে গঠিত হলো 'অপারেশন ওমেগা'

ব্রিটিশ নাগরিক রজার মুডির সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো 'পিস নিউজ' নামের একটি ম্যাগাজিন। এই ম্যাগাজিন জুড়ে থাকত মানবতার গল্প। ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশে ভয়াবহ গণহত্যার চিত্র 'পিস ম্যাগাজিন' বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিল। সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা।

রজার মুডি কাজ করতেন যুদ্ধবিরোধী সংগঠন 'ওয়ার্ল্ড রেসিস্টারস ইন্টারন্যাশনাল'এ। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিনের মাথায় এ সংগঠন থেকে পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পান রজার মুডি।

এক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে একটি অভিযানের পরিকল্পনা করেন তিনি। তখন হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা চলছে গোটা বাংলাদেশে। প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ শরণার্থী তখন সীমান্তের পথে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের হিসেব মতেই শরণার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ। পিস ম্যাগাজিনের জুন সংখ্যায় রজার মুডি ঘোষণা দেন  'অপারেশন ওমেগা' গঠনের।

১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল পিস নিউজে অপারেশন ওমেগার জন্য স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহের বিজ্ঞপ্তি দেন রজার মুডি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আমরা লন্ডনবাসী পূর্ব পাকিস্তানে জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ বিতরণের জন্য স্বেচ্ছাসেবক আহ্বান করছি। যারা শারীরিকভাবে সক্ষম এবং এই অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে আগ্রহী, তাদেরকে পিস নিউজ সম্পাদক রজার মুডিকে লেখার আহ্বান জানাচ্ছি। দয়া করে ফোন করবেন না।' 

রজার মুডির আহ্বানে সাড়া দেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩ জন এবং যুক্তরাজ্যের ৮ জন  নাগরিক। ১৯৭১ সালের মে মাসে ৪ নারী স্বেচ্ছাসেবকসহ এই ১১ স্বেচ্ছাসেবককে নিয়েই গড়ে উঠে অপারেশন ওমেগার মূল স্বেচ্ছাসেবক দল। এর সদর দপ্তর স্থাপন করা হয় ৩, কেলডোনিয়ন রোড লন্ডন এন ১ এ।

রজার মুডির মতো অ্যালেন কানেট ও পল কানেট দম্পতিও কাজ করতেন যুদ্ধবিরোধী সংগঠন  'ওয়ার্ল্ড রেসিস্টারস ইন্টারন্যাশনাল' এ।  মুডির আমন্ত্রণে গর্ডন স্লাভেনও যুক্ত হয়েছিলেন অপারেশন ওমেগার সঙ্গে। গর্ডন স্লাভেনের নাম কিছুটা আড়ালে ঢাকা পড়লেও, তিনি ছিলেন অপারেশন ওমেগার প্রাণশক্তি।

অ্যালেন কানেট ও পল কানেট দম্পতি। ছবি কৃতজ্ঞতা: সৈয়দ জাকির হোসেন

বলে রাখা ভালো, পল কানেট-অ্যালেন কানেট দম্পতিই পরে ১ আগস্ট লন্ডনের বিখ্যাত ট্রাফালগার স্কয়ারে বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধে বিশাল সমাবেশের আয়োজক ছিলেন। 

গর্ডন স্লাভেন। ছবি: সংগৃহীত

'অপারেশন ওমেগা'গড়ার মূল লক্ষ্য

'অপারেশন ওমেগা'গঠনের মূল লক্ষ্য ছিল ২টি। প্রথমটি হলো—বাংলাদেশের জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং দ্বিতীয়টি হলো—পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের এই বার্তা দেওয়া যে, নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালানোর কোনো অধিকার পাকিস্তানের নেই।  মুক্তিযুদ্ধের ১ জুলাই অপারেশন ওমেগার ৪ সদস্য অস্টিন কে-৯ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে লন্ডন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কুয়েত পৌঁছান। এরপর কুয়েত থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি জাহাজে করে মুম্বাই পাঠানোর ব্যবস্থা করে তারা বিমানে কলকাতার দিকে রওনা দেন।

কলকাতায় পৌঁছানোর জন্য ১১ জুলাই কলকাতায় নিযুক্ত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের হাইকমিশনার হোসেন আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অপারেশন ওমেগার অন্যতম সদস্য বেনার্ড রিভার।

হোসেন আলীকে তিনি বলেন, 'অপারেশন ওমেগার সদস্যরা আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে ত্রাণ বিতরণ করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা ইতোমধ্যেই সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণকে জানিয়েছি। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব টি এন কাউল এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পি এন হাকসারকে জানিয়েছেন। তারা আমাদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।'

অপারেশন ওমেগার প্রচারপত্র

অপারেশন ওমেগার প্রচারপত্র প্রথম প্রকাশ পায় ৩০ জুলাই। এতে অপারেশন ওমেগার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও কর্মপদ্ধতি উল্লেখ ছিল। লেখা ছিল, 'No boundary is legitimate which attempts to separate those in pain from those who can help. Human beings do not need permission to aid those threatened with death.'

বাংলাদেশে অপারেশন ওমেগা নিয়ে প্রচারপত্রে বলা হয়, 'বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলার শিকার। সমগ্র পৃথিবীর মানুষ দেখছে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ কীভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছে। আমরা নির্ভরযোগ্য এবং স্বাধীন প্রতিবেদনের মাধ্যমে এটি পরিষ্কার যে, বাংলাদেশে এখন বেশিরভাগ মানুষই  খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ভুগছে।

অপারেশন ওমেগার সামনে মানবতাবাদী হিসেবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রবেশ ছাড়া কোন পথ খোলা নেই। এখন আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আমরা প্রথমেই  অত্যাচারিত মানুষকে সামনে এনে পুরো বিশ্বের সামনে নিয়ে আসব। এরপর আমরা প্রয়োজনমাফিক ত্রাণ সরবরাহ করব।'

প্রচারপত্রে আরও বলা হয় 'আমরা ইততোমধ্যেই পাকিস্তান সরকারকে আমাদের উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছি। শিগগির পুরো বিশ্বকে জানাব। তবে আমরা আমাদের কাজের জন্য কারো কাছে অনুমতি চাইব না।'

অপারেশন ওমেগার কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রচারপত্রে বলা হয়, 'প্রথম দল ২টি গাড়িভর্তি ত্রাণসহ সীমান্ত অতিক্রম করবে। কোনো কারণে প্রথম দল বাধাগ্রস্ত হলে দ্বিতীয় দল এগিয়ে আসবে তাদের সাহায্যের জন্য। আর যোগাযোগ ও সহায়তার জন্য সীমান্তে একজন এবং কলকাতায় একজন ওমেগা সদস্য উপস্থিত থাকবেন। প্রয়োজনে তাদের মাধ্যমে লন্ডনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন তারা।'

অপারেশন ওমেগার প্রচারপত্র। সংগৃহীত

অপারেশন ওমেগার সদস্যদের প্রথম বাংলাদেশে প্রবেশ

জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অপারেশন ওমেগার প্রথম দলের ৪ জন সদস্য ভারতে এলেও বাকি সদস্যরা ভারতে পৌঁছান আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে।

৮ আগস্ট কলকাতা থেকে প্রকাশিত যুগান্তর পত্রিকায় 'অপারেশন ওমেগা সত্যাগ্রহীদের অভিনব অভিযান' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়,  অপারেশন ওমেগা কোনো সামরিক কোড নয়। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকা—এই ৩ মহাদেশের একদল অহিংস সত্যাগ্রহী যে অভিনব অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন, তারই সংক্ষিপ্ত নাম অপারেশন ওমেগা।  অভিযাত্রীরা কলকাতা থেকে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে চান। তারা মুক্তিবাহিনীর জন্য সহযোগিতা নিয়ে যাবেন, যার বেশিরভাগই হবে ওষুধ। অভিযাত্রীদের অগ্রদূতরা ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি ও কলকাতায় সমবেত হয়েছেন এবং অভিযানের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তারা মুক্তিবাহিনীকে কয়েকটি গাড়িও দিতে চান। গাড়িগুলো জাহাজে কলকাতা পাঠানো হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের ১৩ আগস্ট কলকাতায় সংবাদ সম্মেলন করেন অপারেশন ওমেগার দলনেতা রজার মুডি এবং সদস্য  ড্যানিয়েল গ্রোটা। সংবাদ সম্মেলনে ২ জনই বলেন, 'আগামী ১৭ আগস্ট ২টি গাড়ি নিয়ে আমরা ৮ স্বেচ্ছাসেবক বাংলাদেশে প্রবেশ করব।' এরপর ১৭ আগস্ট দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ২টি ল্যান্ড রোভার গাড়িতে করে পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে যশোর রোড দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন অপারেশন ওমেগার স্বেচ্ছাসেবক ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিস্টিনা  প্রাট, জয়েস কেনিওয়েল, বেন ক্রো এবং মার্কিন নাগরিক ড্যান ডিউ।

সীমান্তে তাদের স্বাগত জানান গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনের সদস্য ও স্থানীয় মানুষ। স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ছিল কলকাতা থেকে আনা আধা টন বিস্কুট, ওষুধ ও ৫০০ শাড়ি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তারা পাকিস্তানি সেনাদের বাধার মুখে পড়েন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে আলাদা করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

একই দিন সীমান্তের আরেক অংশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন মার্কাস ডুরান, গর্ডন স্লাভেন ও ক্লিয়ার স্কেলে। তাদেরকেও প্রথমে আটক করে পরে ছেড়ে দেয় পাকিস্তানি সেনারা।

মুক্তিযুদ্ধের ২০ আগস্ট দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত অপারেশন ওমেগার সংবাদ সম্মেলনের খবর।

১৮ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মধ্যে কয়েকশ মিটার যাওয়ার পরই পাকিস্তানি সেনারা বিদেশি দলের পথ অবরোধ করে। বেনাপোল অতিক্রম করে যশোর রোড ধরে তারা এগিয়ে চলতে থাকলে পাকিস্তানি সেনাদের একটি দল তাদের বাধা দেয়। সেনাদের সঙ্গে তাদের তর্ক শুরু হয়।  তারা জানান, মানবিক অধিকারেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। পাকিস্তানি সেনারা তাদের ঘেরাও করে ফেলে। সেনা পরিবৃত অবস্থায় তাদের কিছুটা পথ চলতেও দেখা যায়। পাকিস্তানি সেনারা সত্যাগ্রহীদের কিছুদূর নিয়ে গিয়ে তাদের মধ্যে ৪ জনকে আলাদা করে নেয় ও বাকি সবাইকে সেখানে অপেক্ষা করতে বলে। এক অজ্ঞাত স্থানে ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই ৪ জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

১৯ আগস্ট কলকাতায় সংবাদ সম্মেলন করেন অপারেশন ওমেগার সদস্যরা। তারা তাদের বাধা দেওয়া ও তাদের সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তারা আবার বাংলাদেশে যাবেন বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।

মুক্তিযুদ্ধের ১৮ আগস্ট দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদন।

অপারেশন ওমেগার সদস্যরা বলেন, 'নিঃসন্দেহে এখন আমাদের শক্তি অনেক বেশি। লন্ডনে সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা আমাদের অভিযানের দিনক্ষণ স্থির করব। কোনো কোনো পাকিস্তানি অফিসার যে মেজাজ দেখিয়েছেন এবং যে ধরনের কদর্য গালিগালাজ করেছেন, তা নাৎসি নেতাদের চরিত্রের সঙ্গেই তুলনীয়। আমরা বরাবর আমাদের মিশন অনুসারে নম্র থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের ব্যবহার পেয়েছি।'

তথ্যসূত্র:

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র ত্রয়োদশ খণ্ড

দৈনিক যুগান্তর: ৮, ১৮, ২০ আগস্ট, ১৯৭১

দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, ৭ আগস্ট ১৯৭১

 

 

 

 

 

Comments