মানুষ পরিবর্তন চায়: মেয়রপ্রার্থী রিফাত

আরফানুল হক রিফাত। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেছেন, কুমিল্লা শহরের মানুষ পরিবর্তন চায়।

তিনি জানান, কুমিল্লা শহরের মানুষ তাকে ভোট দেবে। কারণ তারা দুর্নীতিমুক্ত একটি নতুন মুখ দেখতে চান।

তিনি বলেন, 'গত ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। তৃণমূল থেকে আমি উঠে এসেছি। এই শহরের মানুষ এটা খুব ভালো করেই জানেন। কাজেই, তারা আমার সঙ্গে থাকবেন। আমি আওয়ামী লীগের একজন সৎ ও পরীক্ষিত কর্মী।'

কুমিল্লা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাত আরও বলেন, গত ১০ বছরে সিটি করপোরেশন অফিস 'দুর্নীতিবাজদের আস্তানায়' পরিণত হয়েছে এবং নগরবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, 'অফিসে পরিবর্তন ছাড়া দুর্ভোগ নিরসনের আর কোনো উপায় নেই।'

নিজের ১১ দফা নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়ে রিফাত বলেন, সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, 'দুর্নীতিবাজ মেয়র ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমি শ্বেতপত্র প্রকাশ করব।'

নিজেকে সৎ দাবি করে তিনি বলেন, 'আমি একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি নির্বাচিত হলে কেউই দুর্নীতির সুযোগ পাবে না। আমি নির্বাচিত না হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব।'

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে রিফাত বলেন, 'কিছুদিন আগে জানতে পারি,  দুর্নীতির ২টি মামলায় সাক্কু জামিন পেয়েছেন। আমি কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। আমি তাকে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বসাতে চেয়েছিলাম তার দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার জন্য। তাকে বলতে চেয়েছিলাম, তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পারলে তিনি তা মিথ্যা বলে প্রমাণ করুন। কিন্তু তিনি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি।'

আওয়ামী লীগের মনোনীত এই মেয়র প্রার্থী বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাক্কু যদি শহরের জন্য কাজ করে থাকেন, তাহলে কেন সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে রিফাত বলেন, 'পরিস্থিতি খুবই ভালো ও শান্তিপূর্ণ। মানুষ উৎসবের আমেজে নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে যাবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'কুমিল্লার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমি সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে বলব, নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখুন, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন। নির্বাচনে যে-ই জিতুক না কেন, আমরা অভিনন্দন জানাব।'

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

19h ago