খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের মৃত্যু

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে করোনা রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ ও অক্সিজেন সহায়তা দিচ্ছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ছবি: স্টার

খুলনায় করোনা চিকিৎসা দেওয়া চারটি হাসপাতালের মধ্যে দুটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকি একজনের করোনা উপসর্গ ছিল।

এ ছাড়া, ১৩০ শয্যার এ করোনা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২০০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩৬ জন, ইয়ালো জোনে ২৪ জন, এইচডিইউতে ২০ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ জন।

গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে আট জন এবং এইচডিইউতে ১১ জন চিকিৎসাধীন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোনো রোগী মারা যায়নি। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৬ জন। এ ছাড়া, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে নয় জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।

খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৪ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন চিকিৎসাধীন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে একজন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুজন।

Comments

The Daily Star  | English
Interest rate on loans by sector

High interest rates threaten SME jobs, stability

Banks charge SMEs interest rates ranging between 13 and 15 percent, among the highest across all sectors except services.

9h ago