ঢাকার পর কক্সবাজারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি

কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে জেলার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
স্টার ফাইল ফটো

কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে জেলার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সারাদেশের মধ্যে রাজধানীর পর কক্সবাজার জেলাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। তবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এই প্রকোপ তুলনামূলক বেশি।'

তিনি আরেও বলেন, 'এডিস মশার বিস্তার রোধে জেলাব্যাপী সমন্বিতভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।'

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরুর পর এ পর্যন্ত ৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২ জন রোহিঙ্গা এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা। এর মধ্যে, গত ১৫ জুলাই শুক্রবার কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ২ ডেঙ্গু রোগী ও জুনের শেষের দিকে একই হাসপাতালে একজন মারা যান। জানুয়ারি আজকের দিন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (উপজেলা সরকারি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) এবং কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মোট ১৭০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। তাদের ৮৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৮৩ জন রোহিঙ্গা সদস্য।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমের সমন্বয়ক ডা. এটিএম রেজওয়ানুল হক ভুঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিবেশ-প্রতিবেশগত কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সরকারের গাইডলাইন অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এডিস মশার বিস্তার রোধে ক্যাম্প প্রশাসন ও এনজিওগুলো মাঠে নিয়মিত কাজ করছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ক্যাম্পগুলোতে ৩ হাজার ২৯ জন রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত হন।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার পর কক্সবাজার জেলাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি  হাসপাতালে ১ হাজার ৭২৩ জন ডেঙ্গু রোগী জন্য ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৪৯১ জন এবং দেশের অন্যান্য জেলায় ২৩২ জন।

Comments