২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭, শনাক্ত ১৬.৮২ শতাংশ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ১ হাজার ৬১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং শনাক্তের হার ১৬.৮২ শতাংশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ১ হাজার ১২৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৪৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ১৭৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৭৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৬ জন রংপুর বিভাগের, ৬৮ জন খুলনা বিভাগের, ৬৪ জন বরিশাল বিভাগের, ১৮ জন সিলেট বিভাগের।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ১ হাজার ৭৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১৬.৫৪ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮০১ জনের করোনা শনাক্ত হলো এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৯৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৫৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৮৯০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ১১ হাজার ৩৬৭ জন।
সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল। গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন।
তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ১২ দিনের মাথায় তা দেড় হাজারের ঘরও ছাড়ায়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
Comments