লিভারপুলের সেই কৌতিনহোকে ফিরিয়ে আনবে ব্রাজিল

লিভারপুলের হয়ে তখন উড়ছিলেন ফিলিপ কৌতিনহো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার ট্রেডমার্ক শটগুলো ফেরাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হতো গোলরক্ষকদের। কিন্তু আরও বড় প্রত্যাশায় ইংলিশ ক্লাবটি ছেড়ে যোগ দেন বার্সেলোনায়। তখন থেকেই তার পতনের শুরু। আজও নিজেকে হারিয়ে খুঁজে চলেছেন তিনি। তবে সেদিনের সেই কৌতিনহোকে ফেরাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে ব্রাজিল। এমনকি ফিরিয়ে আনবেন বলে প্রত্যয় প্রকাশ করেন দলটির প্রধান কোচ তিতে।

লম্বা ইনজুরি শেষ গত মাসেই মাঠে ফিরেছেন কৌতিনহো। কিন্তু এখনও সেই খোলসেই আবদ্ধ রয়েছেন তিনি। যে কারণে বার্সেলোনাতে এখনও সে অর্থে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। এরমধ্যেই তাকে ব্রাজিল জাতীয় দলে নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন কোচ তিতে। যেখানে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের মতো ছন্দে থাকা খেলোয়াড়দেরও ডাকেননি। পরে অবশ্য রোবার্তো ফিরমিনোর ইনজুরিতে জায়গা হয় এ রিয়াল মাদ্রিদ তরুণের।

সন ছাপিয়ে মূল আলোচনা কৌতিনহোকে নিয়েই। তাকে সেরা ছন্দে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনাই এঁকেছেন কোচ তিতে। আর খুব দ্রুতই কাজটা করতে চান এ কোচ, 'কৌতিনহো বর্তমানে সেরা কৌতিনহো নয়, তবে কৌতিনহো একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। ওর দারুণ ভবিষ্যৎ রয়েছে। লিভারপুলে ও যে অবস্থায় ছিল আমরা সেই কৌতিনহোকে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি। তবে ও যে কতোটা দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড় তা দেখানোর প্রক্রিয়াটি আমাদের সংক্ষিপ্ত করতে হবে।'

লিভারপুলের হয়ে মাঠে কি করেছেন কৌতিনহো, তা কম বেশি সবাই জানেন। হুট করে ছন্দ হারানোর বিষয়টাই খুঁজে বের করতে চান তিতে। তার প্রতিভার প্রতি আস্থা রেখেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঝরে তিতের কণ্ঠে, 'ওর প্রতিভা নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কেউ বলতে পারবে না যে কৌতিনহোর কাছে তা নেই। আমার জন্য, কৌতো উভয় দিকেই খেলতে পারে, ও ভিতরে কিংবা বাইরেও খেলতে পারে। তবে ও একজন অবিচ্ছেদ্য খেলোয়াড় যাকে ফাইনাল পাস করতে হবে।'

২০১৮ সালে লিভারপুল থেকে সবমিলিয়ে ১৪৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে কৌতিনহোকে কিনেছিল বার্সেলোনা। এতো দাম দিয়ে কেনার পর তার উপর প্রত্যাশার পারদটাও অনেক উঁচুতে ছিল ক্লাবটির। ভাঙা মৌসুমে শুরুটা খারাপ ছিল না। কিন্তু পরের মৌসুম থেকেই নিজের ছায়া হয়ে যান এ ব্রাজিলিয়ান। এক সময় প্রথম একাদশ থেকে জায়গাও হারিয়ে ফেলেন। সে জায়গা আরও ফিরে পাননি তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

6h ago