রূপগঞ্জে নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় উপজেলার নাওড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন—নাওড়া গ্রামের মৃত ফজুল মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া ও ওমেদ আলীর ছেলে রেনু মিয়া। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়াও আহত হয়েছেন সুবহান, জায়েদা খাতুন, নুরজাহানসহ ১০জন। তাদেরকে রূপগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্য সাত জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান পরাজিত হয়ে তার সমর্থক জসিম উদ্দিন জসু ও আলেক মিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি জোসনা আক্তারের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হামলাকারীরা পাঁচটি ঘর, চারটি মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত মেম্বার জসিম উদ্দিন ও সাবেক মেম্বার মোশারফ হোসেনের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কয়েকটি ঘরে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।'
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আহত বা নিহতের কোনো খবর নেই। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।'
Comments