মিথ্যা আশ্বাসে বিএনপি আর নির্বাচনে যাবে না: জয়নুল আবদিন

নিরপেক্ষ সরকারের দাবি না মানলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না জানিয়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, মিথ্যা আশ্বাসে বিএনপি আর নির্বাচনে যাবে না।
আজ শনিবার সকালে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন বলেন, আপনারা যত চেষ্টা করুন, এই দলকে ভাঙা যাবে না। এই দল মচকাবে, ভাঙবে না। অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। তারা দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করে নিজেরা বক্তব্য দিচ্ছেন—এই সরকার পতনের নাকি ষড়যন্ত্র আরম্ভ হয়েছে। ষড়যন্ত্র না, বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের পতনের আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন ষড়যন্ত্রের কথা বলে ঠেকাতে পারবেন না।
বিএনপি আন্দোলন করতে জানে না, ১৩ বছরে তারা আন্দোলন করতে পারেনি—সরকার দলীয় ২ রাজনীতিকের দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে জয়নুল আবদিন বলেন, আন্দোলনের কী দেখেছেন? এরশাদ ৯ বছর ক্ষমতায় ছিল, আমাদের দেশনেত্রীর নেতৃত্বে যে আন্দোলন হয়েছে সেই আন্দোলনে এরশাদও ভেসে গেছে। স্বৈরাচার টিকতে পারেনি। আপনারা বড় স্বৈরাচার। ভাবছেন বড় স্বৈরাচারকে আন্দোলন করে নামানো যাবে না। বিগত দিনের কথা স্মরণ করেন। এবার হাল ধরেছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতা, ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান। এই আন্দোলন আপনারা থামাতে পারবেন না।
সরকার বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাঠানোর জন্য সিন্ডিকেট তৈরি করে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে বলে এ সময় অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, আপনারা শুনেছেন সম্রাট তাদের লোক। এই সম্রাট হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সরকারি দলের আরেকজন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি বহাল তবিয়তে সরকারের নাকের ডাগার ওপর দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে এলেন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তিনি নাকি আইন মেনে সেখানে চিকিৎসার জন্য গেছেন। হাজী সেলিম যদি যেতে পারেন, ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী কেন বিদেশে চিকিৎসা পেতে পারবে না! সরকারকে বলবো আপনারা অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে যে পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে তা আপনারা রোধ করতে পারবেন না।
ফারুক বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি এই সরকার আর টিকতে পারবে না। আপনারা ভেবেছেন এবারও বিএনপিকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে নেবেন, তা হবে না। যত কথাই বলুক না কেন; আমি বলছি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। মানুষকে বেশি দিন দাবিয়ে রাখা যায় না।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার কানে এসেছে আমাদের দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। কিছু হালুয়া-রুটি দেবে, সেই হালুয়া-রুটির কারণে কিছু কিছু লোক চলে যাবে। আমি এ রকম কোনো লক্ষণ দেখি না। তারপরও বলি, আপনারা যদি হালুয়া-রুটির লোভে এই দলের সঙ্গে বেঈমানি করেন, এই বেঈমানদের জায়গা বাংলাদেশে হবে না।
Comments