বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মালয়েশিয়াপ্রবাসীদের অবদান রাখার আহ্বান

হুন্ডি কিংবা অবৈধপথ পরিহার করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে জাতিরজনক  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার  মো. গোলাম সারোয়ার।
মালয়েশিয়ায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

হুন্ডি কিংবা অবৈধপথ পরিহার করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে জাতিরজনক  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার  মো. গোলাম সারোয়ার।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের মাধ্যমের ব্যবহারও অপরাধের সামিল। উপরন্ত, বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠালে মাতৃভূমির উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি  সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রবাসীরা নিজেরও লাভবান হবেন।'

সোমবার সকালে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ আহবান জানান হাইকমিশনার।

জাতীয় শোক দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা এবং কলঙ্কময় দিন। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের একমাত্র দর্শন। সারাজীবন জেল, জুলুম ও অত্যাচার উপেক্ষা করে তিনি অসাধারণ বীরোচিত নেতৃত্বগুণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভিশন-২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান ২১০০ বাস্তবায়ন করছে।

তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে দৃঢ়ভাবে আত্মনিয়োগ করবার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ, মিনিষ্টার (শ্রম) মো. নাজমুস সাদাত সেলিম, কাউন্সেলর (শ্রম) মো. জহিরুল ইসলাম, কাউন্সেলর (বাণিজ্য) মো. রাজিবুল আহসান, কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) জি এম রাসেল রানা, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দীন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহেনা পারভীনসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসী সংগঠকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাশেদ বাদল, খোকন, শফিকুর রহমান চৌধূরী, মনিরুজ্জামান মনির, দাতু আখতার হোসেন, মামুনুর রশিদ, সেলিম জালাল,নুর মোহাম্মদ ভূইয়া, রুহুল আমিন, ফারজানা সুলতানা ।

দিবসের শুরুতে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার। এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয় ।

লেখকমালয়েশিয়াপ্রবাসী  সাংবাদিক

Comments