আবে হত্যাকাণ্ডে জাপান পুলিশ প্রধানের পদত্যাগের ঘোষণা

জাপান পুলিশ
জাপানের পুলিশ এজেন্সির প্রধান নাকামুরা ইতারু। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যাকাণ্ডে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জাপানের পুলিশ এজেন্সির প্রধান নাকামুরা ইতারু।

আবের ওপর প্রাণঘাতী হামলার সময়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ ঘোষণা দেন তিনি।

প্রতিবেদনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না বলে উল্লেখ করেছেন পুলিশ প্রধান।

পদত্যাগের ঘোষণায় নাকামুরা ইতারু বলেন, 'জাতীয় পুলিশ এজেন্সির বিশ্বাস যে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেই লক্ষ্যে নতুন এক ব্যবস্থার আওতায় নতুন নিরাপত্তা প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে স্থিরভাবে পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা আবশ্যকীয়। কর্মী ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠনের চেষ্টায় আজ আমি সরকারি নিরাপত্তা কমিশনের কাছে আমার পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।'

এর আগে গত মঙ্গলবার নারা জেলা পুলিশের প্রধান ওনিযুকা তোমোয়াকিও পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

আগামীকাল শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নাকামুরার পদত্যাগ অনুমোদিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামলার আলোকে নিরাপত্তা পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে এর ফলাফল এজেন্সি প্রকাশ করেছে।

ঘটনাস্থলে অপর্যাপ্ত নির্দেশ এবং তথ্য ভাগাভাগি করে নেওয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ত্রুটি পেয়েছে এজেন্সি।

সন্দেহভাজন তেতসুইয়া ইয়ামাগামি যে আবের নিকটে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল, তা লক্ষ্য করতে পুলিশ ব্যর্থ হয় বলেও এজেন্সি উল্লেখ করেছে।

ইয়ামাগামি জাপানের নারা শহরের বাসিন্দা। তার বয়স ৪১ বছর। তিনি দেশটির নৌবাহিনীর জাপানের মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক সদস্য বলে জানা গেছে।

এদিকে জাপান সরকার জানিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য ভিআইপিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে পর্যালোচনা করে দেখা এবং জেলা পুলিশের সঙ্গে এজেন্সির সংশ্লিষ্টতা জোরদার করে তোলার পরিকল্পনা করছে তারা। প্রায় গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা নীতিমালা পুনর্গঠনের মাধ্যমে এটা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে নারা শহরে এক নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে বক্তব্য রাখা দেওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি থাকতে পারে বলে জাতীয় পুলিশ এজেন্সি সন্দেহ করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

5h ago