তুরস্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল সামার স্কুল’

তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরকে একাডেমিক গবেষণায় আরও দক্ষ ও চৌকস করে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল সামার স্কুল’ কর্মসূচি।
তুরস্কে ‘ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল সামার স্কুল’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরকে একাডেমিক গবেষণায় আরও দক্ষ ও চৌকস করে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে 'ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল সামার স্কুল' কর্মসূচি।

তুরস্কের সরকারি বৃত্তি 'তুর্কিয়ে বুর্সলারি' প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ইয়েতেবের সহায়তায় এই আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তুরস্ক (বাসাত)।

সম্প্রতি দেশটির ঐতিহাসিক ও বাণিজ্যিক শহর ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয় ২ দিনের এডুকেশনাল সামার স্কুল। এতে অংশ নেন ১৫টি শহরের পিএইচডি, মাস্টার্স ও অনার্সে অধ্যয়নরত ২৮ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ১২৫ জন আবেদনকারীর মধ্যে থেকে তাদের মনোনীত করা হয়।

সামার স্কুলে তুরস্ক, কানাডা, সুইডেন, স্পেন ও বাংলাদেশ থেকে খ্যাতিমান শিক্ষক ও গবেষকরা একাডেমিক গবেষণার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ক দিকনির্দেশনামূলক সেশন পরিচালনা করেন।

প্রশিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন ড. রহমত উল্লাহ, ড. এ এফ এম শোয়াইব আখতার, ড. ইমাদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশিকুর রহমান, যোবায়ের আহমেদ, আহমদ সাব্বির, সালাহউদ্দিন, মো. মুমিন, মোহাম্মদ হোসাইন, জনাব তোহা হাওলাদার, ড. ফেরদৌস আরা ইসলাম, সাইকোলোজিস্ট শেইমা কোচাক।

সামার স্কুলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা রিসার্চ মেথডলজি সংক্রান্ত ক্লাস ও সেশনগুলো একাডেমিক রিসার্চের জন্য দিকনির্দেশনামূলক ও অনুপ্রেরণামুলক হয়ে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

একাডেমিক সেশনের পাশাপাশি অংশগ্রহনকারীদের জন্য একাডেমিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সাইকোলোজিক্যাল কনসাল্টেন্সি সেশন, মিউজিয়াম ভ্রমণ ও আউটডোর এক্টিভিটিসসহ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তুরস্কের সরকারি বৃত্তি 'তুর্কিয়ে বুর্সলারি'র কো-অর্ডিনেটর এমরে ওরুচ আগামীতে সব একাডেমিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে বাসাতকে আরও বেশি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বাসাতের সভাপতি ওমর ফারুক হেলালী ও সেক্রেটারি জেনারেল নাসরুজ্জামান নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাসাতের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন, আয়োজক কমিটির যোবায়ের আহমেদ, আহমদ সাব্বির, সাইয়্যেদ মাগফুর আহমদ।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইস্তাম্বুল কমার্স কলেজ

Comments