মালয়েশিয়ায় শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি অভিযোগে মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের ৪ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে দেশটির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সঙ্গে এক যৌথ তদন্তের পর গত সোমবার দেশটির নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের সেরেম্বান থেকে ২৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করছিলেন ওই শিক্ষার্থী।

আদালতে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভিডিও ও ফটোর মাধ্যমে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগ এবং ৮টি মোবাইল ফোন, ইউএসবি ড্রাইভ ও হার্ড ড্রাইভে শিশু পর্নোগ্রাফির ৭৪০টি ছবি রাখাসহ মোট ১২টি অভিযোগ আনা হয়।

বিচারকের সামনে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানোর পর অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন ওই শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের সেরেম্বানের বুকিত রাসাহ এলাকার একটি বাড়িতে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অপরাধ সংঘটিত হয়। সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো গুরুতর উল্লেখ করে জামিন না দেওয়ার আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী জাহিদা জাকারিয়া।

তিনি বলেন, যদি জামিন মঞ্জুর করা হয়, তাহলে অভিযুক্ত আবারও শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি করতে পারে কিংবা ভুক্তভোগীদের আরও হয়রানি করতে পারে।

অভিযোগ শুনানির পর বিচারক প্রতিটি অভিযোগের জন্য ৮ হাজার করে মোট ৯৬ হাজার রিঙ্গিতের বিনিময়ে জামিনের সুযোগ দেন। তবে ওই অর্থ পরিশোধে সামর্থ্য নেই বলে জানান সেই শিক্ষার্থী। পরে তাকে সেরেম্বান কারাগারে পাঠানো হয়।

আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

মালয়েশিয়ায় যৌন অপরাধের শাস্তি বেশ কঠোর। যৌন অপরাধ আইন ২০১৭-এর ৫ ধারার অধীনে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০ বছরের বেশি কারাদণ্ড ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর চাবুক মারার শাস্তি আছে।

একই আইনের ধারা ১০-এর অধীন কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৫ বছরের বেশি কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রিঙ্গিতের বেশি জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।

লেখক:  মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago