সিডনিতে ১৯ সংগঠনের আয়োজনে দুর্গাপূজা সম্পন্ন

সিডনিতেই ১৯টি সংগঠনের উদ্যোগে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন হয়। প্রতিটি পূজামণ্ডপেই মানুষের ভিড় ছিল। সিডনির সবচেয়ে পুরনো সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি পূজা ও সংস্কৃতি ১ দিন এবং বাংলাদেশ পূজা অ্যাসোসিয়েশন ২ দিনের আয়োজন করেছিল।
সিডনিতে একটি পূজামণ্ডপ। ছবি: সংগৃহীত

সিডনিতেই ১৯টি সংগঠনের উদ্যোগে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন হয়। প্রতিটি পূজামণ্ডপেই মানুষের ভিড় ছিল। সিডনির সবচেয়ে পুরনো সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি পূজা ও সংস্কৃতি ১ দিন এবং বাংলাদেশ পূজা অ্যাসোসিয়েশন ২ দিনের আয়োজন করেছিল।

এবারের পূজার আয়োজনে নতুন ধারা এনেছে নতুন প্রজন্মের সংগঠন শঙ্খনাদ, আবাহনী ও আনন্দধারা। তারা কয়েক বছর ধরে তিথি ও বিধি মোতাবেক ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব পালন করে আসছে। এ ছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন, উত্তরণ, দর্পণ, মর্দিনী, ভক্তমন্দির, ত্রিনয়নী, নবরূপ, আরোহণ, স্বাগতম, উৎসব, রামকৃষ্ণ মিশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন, সিডনি কালীবাড়ি বিভিন্ন পরিসরে পূজার আয়োজন করে।

এবারের পূজায় বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়। এ বিষয়ে কয়েকটি সংগঠন বিজয়া সম্মেলনির মাধ্যমে সিডনিতে অনতিবিলম্বে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে।

প্রবাসে এ পূজাটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর বাঙালির একটি সামাজিক উৎসবের রূপ ধারণ করে। এ আয়োজনে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, কীর্তন, নাচ, গান, নাটক, গীতি নকশাসহ অন্যান্য পারফর্মিং আর্টস পরিবেশিত হয়। ঢাকের বাদ্য, মন্ত্রের উচ্চারণ, অঞ্জলি, ধূপ, মঙ্গলদ্বীপ, নৈবেদ্য ও প্রসাদের সমাহারে এই আয়োজন ছিল উৎসবমুখর।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে, যা বাঙালি সংস্কৃতির বিশাল অর্জন।

আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments