জাপানে বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এক টুকরো বাংলাদেশ

গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন জাপানের আয়োজনে টোকিওতে আজ বুধবার ষষ্ঠ বারের মতো বহুদেশীয় এবং বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আয়োজনটির নামকরণ করা হয় মাল্টি কালচারাল ওয়ান ফ্যামিলি ফেস্টিভ্যাল-২০২২।
এবারের আয়োজনের টাইটেল ছিল রি-কানেক্ট বা পুনঃসংযোগ। করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এই আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য এবারের টাইটেল দেওয়া হয় রি-কানেক্ট।
ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়ে বাংলাদেশি শিশুশিল্পীরা এবারও সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। পুরো আয়োজনে বাংলাদেশিদের প্রাধান্য থাকায় আয়োজনটি এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়।
টোকিওর সুমিদা সিটির সানরাইজ হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ফেস্টিভ্যাল পরিচালক কাযুহিরো হানদা। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রডিউসর, স্ক্রিপ্ট রাইটার, অভিনেত্রী কেইকো কোবায়াশি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন জাপানের সভাপতি আয়া গোতো। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি ও জাপানে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এবারের আয়োজনেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও সেখানে ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, মিয়ানমার, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও জাপানি খাদ্য সংস্কৃতি স্থান পায়। তবে, বাংলাদেশ ছিল থিম কান্ট্রি।
বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ফেস্টিভ্যালের ভাইস চেয়ারম্যান রাহমান মনি।
ড. তপন কুমার পালের পরিচালনায় শিশু শিল্পী একাডেমির ভাগ্যশ্রী পাল তিথি, তুষ্টি বণিক, মৃন্ময়ী পাল, শ্রীদিকতা বাড়ৈ, শ্রেয়া পাল, কাকলী আহমেদ, সানজিদা আহমেদের পারফরমেন্স সবার নজর কাড়ে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভাগ্যশ্রী পাল তিথি।
সবশেষে রাহমান মনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'এখানে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষার, বিভিন্ন বর্ণের, এমন কী বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আছে। কিন্তু, তারচেয়েও বড় সত্য আমরা মানুষ এবং একটি পরিবারের মতো।'
গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন জাপান প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের প্রাধান্য দিয়ে আসছে। সংগঠনটিতে স্থানীয় জাপানিদের পর বাংলাদেশিদের অবস্থান। ২০১৫ থেকেই ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশি রাহমান মনি।
Comments