বিনিয়োগ আকর্ষণে টোকিওতে বিএসইসি-বিআইডিএর নৈশভোজ

বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে জাপানের টোকিওতে ‘দ্য রাইজ অফ বেঙ্গল টাইগার, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ শীর্ষক এক নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টোকিওর হোটেল আনা ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে জাপানের টোকিওতে 'দ্য রাইজ অফ বেঙ্গল টাইগার, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট' শীর্ষক এক নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিআইডিএ) যৌথভাবে জাপানে বসবাসকারী অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) জন্য এ নৈশভোজের আয়োজন করে।

গতকাল ২৯ নভেম্বর টোকিওর হোটেল আনা ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ অনুষ্ঠান হয়।

এই নেটওয়ার্কিং নৈশভোজটি মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সম্মানে নির্ধারিত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সফর স্থগিত হওয়ায় এবং এর ফলে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল না টোকিও না যাওয়ায় তারা ভার্চুয়ালি এতে অংশ নেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভার্চুয়ালি এবং জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমেদ স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া, এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত পরবর্তী জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশ ও জাপানের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, প্রতিনিধি, বিনিয়োগকারী, সংবাদকর্মী এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নৈশভোজের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, উন্নয়নের চিত্র, বিনিয়োগ ইত্যাদির ওপর একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক অশিবলি রুবাইয়াৎ-তুল-ইসলাম।

আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

বক্তারা বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ, জ্বালানি ও গ্যাস, ভৌত কাঠামো, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি, সফটওয়্যার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ও জাপানের বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিনিধি, বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী নেতারা টেকসই প্রবৃদ্ধি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ আছে এবং বর্তমান সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।'

এ আয়োজনের সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে পাঠানো বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের প্রশংসামূলক অভিনন্দন বার্তা প্রদর্শন করা হয় এ সময়।

Comments