মিশরে বিজয় দিবস উদযাপন

দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম । ছবি : সংগৃহীত

মিশরে যথাযথ মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম।

সন্ধ্যায় দূতাবাসের হলরুমে আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

আলোচনার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আল-আযহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেওয়াজ জুলকার নাইম ও ফাহিম আহমেদ।‌

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।

মোহাম্মদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন, দ্বিতীয় সচিব আতাউল হক, তৃতীয় সচিব শিশির কুমার সরকার ও কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইত্তেহাদের সভাপতি নাজীব শাওকী, পোশাক শিল্প ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাহদী।

মিশরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম । ছবি: সংগৃহীত

বক্তারা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও জাতীয় ৪ নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা একটি প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যা আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাস্তবায়নের পথে।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যার যার অবস্থান থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কবিতা আবৃত্তি ও দেশের গান পরিবেশন করেন।

লেখক:  মিশরপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago