মালয়েশিয়ায় বৈধ হতে ৫ দিনে ৫০ হাজার অভিবাসী কর্মীর আবেদন

সোমবার টিভি তিগার ‘মালয়েশিয়া হারি ইনি’র অনুষ্ঠানে অভিবাসন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অনথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের বৈধ করার প্রক্রিয়ায় ৫ দিনে ৫০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে অভিবাসন বিভাগে। গত ২৭ জানুয়ারি এই 'লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম' কর্মসূচি শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ।

তিনি রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের ২.০ (আরটিকে ২.০) প্রক্রিয়াকে প্রত্যাশার বাইরে বলে বর্ণনা করেছেন এবং অনথিভুক্ত কর্মীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া অতীতের তুলনায় এবারের উদ্যোগের সফলতা দেখছেন।

এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফ উদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেন, 'দেশে বিদেশি কর্মীর চাহিদা পূরণে এই প্রোগ্রাম খুবই কার্যকর। নিয়োগদাতাদের জন্যও এটি সস্তা, কারণ তাদের এখন কর্মী নেওয়ার জন্য কোনো এজেন্সিকে বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে না।'

এই প্রোগ্রাম সেসব বিদেশি কর্মীর জন্য যারা ইতোমধ্যে এখানে কাজ করছেন। কিন্তু, সঠিক কাগজপত্র নেই। তারা এখন পেমেন্ট করে এই সুবিধা নিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন অথবা দেশে ফিরতে পারবেন।

কালো তালিকাভুক্ত অর্থাৎ যার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশনে অভিযোগ আছে এমন শ্রমিক ও ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে এমন অভিবাসী ছাড়া যে কেউ এই লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।

যে ৮টি খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো উৎপাদন, নির্মাণ, খনি ও খনন, নিরাপত্তা রক্ষী, সেবা, কৃষি, বাগান এবং গৃহকর্মী।

আর এ কাজের জন্য ১৫টি 'সোর্স কান্ট্রির' কথা উল্লেখ করেছে মালয়েশিয়া, যার অন্যতম বাংলাদেশ। বৈধতার ক্ষেত্রে কর্মীর বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছর হতে হবে।

অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হতে মাত্র একদিন সময় লাগবে। এরপর হবে বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। যা পরিচালনা করবে ফরেন ওয়ার্কার্স মেডিকেল এক্সামিনেশন মনিটরিং এজেন্সি।

এই প্রোগ্রামে সর্বনিম্ন ফি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার টাকা। এর সঙ্গে মেডিকেল ও অন্যান্য ফি মিলিয়ে মোট খরচ হয় ৩ হাজার রিঙ্গিতের ওপর।

২৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া 'লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম' চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, গত বছরের মতো এবারও তারা কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে এজেন্ট বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেনি। সরাসরি নিয়োগদাতাকে ইমিগ্রেশনে আবেদন করতে হবে।

লেখক:  মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

13h ago