করোনাসহ সংক্রামক রোগ মোকাবিলা প্রকল্পে বাংলাদেশকে আইএফআরসির মনোনয়ন

প্রকল্পের জন্য বাছাই করার ক্ষেত্রে আইএফআরসি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, বিশেষ করে যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। 
কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ন্যাশনাল হেডকোয়ার্টারে এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন ও আইএফআরসির মধ্যে মঙ্কগলবার চুক্তি সই হয়। ছবি: সংগৃহীত

কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য 'স্টকপাইল' প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১০ মিলিয়ন ডলারের দুই বছর মেয়াদী সহযোগিতামূলক প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে মনোনীত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ন্যাশনাল হেডকোয়ার্টারে এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন ও আইএফআরসির মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।

প্রকল্পের জন্য বাছাই করার ক্ষেত্রে আইএফআরসি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, বিশেষ করে যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। 

এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন এজেন্সি (পিআইএ) হিসেবে এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন (আসেফ) ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজকে (আইএফআরসি) মনোনীত করেছে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন, দাতো সেরি ডি রাজা তান শ্রী টুঙ্কু পুতেরি ইন্তান সাফিনাজ বিন্তি আলমারহুম সুলতান আব্দুল হালিম মুআদজাম শাহ, টুঙ্কু তেমেনগং কেদাহসহ মালয়েশিয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকাহাশি কাতসুহিকো, এএসইএফের নির্বাহী পরিচালক, রাষ্ট্রদূত তোরু মরিকাও এবং আঞ্চলিক পরিচালক আইএফআরসি আলেকজান্ডার ম্যাথিউ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার  মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সইয়ের বিষয়ে বলেন, 'এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্র, চিকিৎসা  ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।'

উল্লেখ্য, জাপান সরকার এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম) দেশগুলিতে কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য 'স্টকপাইল' প্রকল্পে এই দশ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে।

এই তহবিল ব্যবহার করে আইএফআরসি এবং ন্যাশনাল সোসাইটিগুলো একটি কাঠামোবদ্ধ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান এবং ফিলিপাইনের সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে 'স্টকপাইল' প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
 

Comments

The Daily Star  | English
pharmaceutical industry of Bangladesh

Pharma Sector: From nowhere to a lifesaver

The year 1982 was a watershed in the history of the pharmaceutical industry of Bangladesh as the government stepped in to lay the foundation for its stellar growth in the subsequent decades.

14h ago