বিমানবন্দর থেকে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
নিয়োগদাতা কোম্পানি গ্রহণ না করায় বিমানবন্দর থেকে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। ছাড়পত্রের আশায় ২ দিন বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন তারা।
আজ শুক্রবার এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ লিমেটেড ঢাকা থেকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানির জন্য ২৯ জন কর্মী পাঠায়। মালয়েশিয়ান কোম্পানিটি ২৯ জনের মধ্যে ১০ জনকে গ্রহণ করেন। কোম্পানি গ্রহণ না করায় ১৯ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন।
গত ডিসেম্বরে কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় ২৯ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে ছিল রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ।
রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ (আর এল নং-৪০) প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মালয়েশিয়ান কোম্পানি এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডিতে আমরা গতকাল বৃহস্পতিবার ২৯ জন কর্মী পাঠাই। এসময় কোম্পানি থেকে রিসিভ করতে গেলে মালয়েশিয়ান এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০ জন কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। বাকি ১৯ জনের ইমিগ্রেশন ডাটা সঠিক না থাকায় তাদের ফেরত পাঠায়।
মামুন বলেন, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এর আগে ওই কোম্পানিতে ৪০ জন কর্মী পাঠিয়েছি। এটা ছিল আমাদের দ্বিতীয় ফ্লাইট। তবে আমরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছেন, ১৯ জনের তথ্য সার্ভারে পাওয়া গেছে, সেক্ষেত্রে কর্মীরা আবার মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।
যে ১৯ কর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে পুনরায় তাদেরকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে যে খরচ হয়, তা আমাদের কোম্পানি বহন করবে। কর্মীদের কোনো অর্থ প্রদান করতে হবে না বলে জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে কেন তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হবে।
লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
Comments