মিশরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

 মিশরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাস পরিবারকে নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ছবি: সংগৃহীত

মিশরে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।

গতকাল স্থানীয় সময় সকালে রাজধানী কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

দূতাবাসে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাস পরিবারকে নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বিকেল মোহাম্মদ ফেরদৌসের উপস্থাপনায় দিবসের আলোচনার শুরুতে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত, এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণী পাঠ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ আলাল উদ্দিন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং ফাহিম আহমেদ বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। 

আলোচনায় অংশ নেন মিশরের বাংলাদেশ স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি, প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও সংগঠক এবং দূতাবাস কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম ভাষা শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভাষার জন্য বাঙ্গালীদের আত্মত্যাগ আজ বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে।

তিনি তার বক্তৃতায় একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

সবশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী ও শিশু-কিশোররা দেশাত্মবোধক গান, কবিতা, অভিনয় ও স্মৃতিচারণা উপস্থাপন করেন।

দিবসের অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

লেখক: মিশরপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Dengue in Ctg: Female fatalities twice as high as male

Experts attribute this disparity to factors such as delayed hospitalisation, anaemia, low blood pressure, and comorbidities

52m ago