নিউইয়র্কে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলার আহ্বায়ক লায়লা হাসান

নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে বাংলা বর্ষবরণ, নিউইয়র্ক, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা, লায়লা হাসান, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা,
রোববার জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে শতকণ্ঠে বর্ষবরণের চতুর্থ মহড়া। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে ১৪৩০ বাংলা বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলার আহ্বায়ক করা হয়েছে একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্য শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান।

এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড আয়োজিত এই আয়োজনে গান গাইবেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। কলকাতা থেকে অংশ নিবেন কমলিনী মুখোপাধ্যায়।

গতকাল রোববার জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে শতকণ্ঠে বর্ষবরণের চতুর্থ মহড়ায় তাদের নাম ঘোষণা করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও চিকিৎসক হুমায়ুন কবির ও সংগীত পরিচালক মহিতোষ তালকদার তাপস। আরও উপস্থিত ছিলেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস।

মুত্তালিব বিশ্বাস বলেন, 'আমি মুগ্ধ হয়ে ৪ ঘণ্টার মহড়া উপভোগ করেছি। আমাদের শত বিভাজনের মধ্যে এক হওয়ার মূল মন্ত্র বাঙালিয়ানা। সংস্কৃতি আমাদের একত্রিত করে। বিশাল এই আয়োজনটি সফল করতে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।'

হুমায়ুন কবির বলেন, 'আমাদের প্রথম ও শেষ কথা আমরা বাঙালি। বিশ্বব্যাপী আমাদের এই বাঙালিয়ানা প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়া যায় এমন বৃহৎ আয়োজনে। নানান প্রভাবে আমরা মানবিকতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, কিন্তু সংস্কৃতি আমাদের মানবিক করে তোলে। এই আয়োজন শতকণ্ঠে হলেও এখানে যুক্ত হবে কোটি কণ্ঠ এই প্রত্যাশা করি।'

মেলার আহ্বায়ক, একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান বলেন, 'উপমহাদেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ মুত্তালেব বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সবাই মিলে আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তাতে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আহ্বায়ক হিসেবে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করব। সবার সহযোগিতা নিয়ে ঐতিহাসিক এ আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে চাই। আগামী ১৪ ও ১৫ এপ্রিলের এ উৎসবে অংশগ্রহণে উত্তর আমেরিকার সব অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

IMF to continue talks with Bangladesh for near-term agreement

The global lender said such an agreement would pave the way for completing the combined third and fourth reviews

1h ago