আমিরাতের ‘মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল উইমেন’ খেতাব পেলেন বাংলাদেশি আবিদা

অ্যাওয়ার্ড হাতে আবিদা হোসেন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের 'মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল উইমেন' (প্রভাবশালী নারী) খেতাব পেয়েছেন বাংলাদেশি নারী সংগঠক আবিদা হোসেন।

কমিউনিটি উন্নয়ন, সেবামূলক কাজ ও চিত্রকলায় বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় আবিদা হোসেনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

গত ১৮ মার্চ দুবাইয়ে 'উইমেন্স গ্লোবাল কনফারেন্স' অনুষ্ঠানে তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন আয়োজকরা।

সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সেবামূলক কাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের ২৫ জন নারীকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আবিদা হোসেন একমাত্র বাংলাদেশি নারী।

অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, ইউএইর ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক দূত হালিমা আবদুল্লাহ রাশেদ, আমিরাতের প্রথম অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ার ড. সোয়াদ আল সামছি, আমেরিকান অ্যাথলেটিক্স মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ড. সানা সাজান, আমিরাত এনভায়রনমেন্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হাবিবা আল মারাশি, চিত্রশিল্পী ও ফ্যাশন ডিজাইনার সুলতানা কাজিম, টিভি উপস্থাপিকা রানিয়া আলি এবং মোটিভেশনাল বক্তা মাইথা আল বালুশি।

সম্মাননা পাওয়ার পর আবিদা হোসেন বলেন, 'এই পুরস্কার আমাকে সেবামূলক ও কল্যাণধর্মী সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে। আমার দেখাদেখি অন্য নারীরাও এতে উৎসাহিত হবেন।'

আবিদা হোসেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বাংলাদেশ উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তার স্বামী বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের চাকরির সুবাদে গত ২ বছর দুবাইয়ে অবস্থানকালে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।

বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়া ছাড়াও তাদের উৎসাহ দিতে কনস্যুলেট লেডিস গ্রুপ থেকে সম্মাননা প্রদান করেন৷

বাংলাদেশ উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রবাসী নারী শ্রমিকদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং আমিরাতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক বন্যায় ফুজিরায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে সবার প্রশংসা অর্জন করেন।

এ ছাড়াও, প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়াসহ প্রবাসী পরিবারের জন্য নানা সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে আবিদা হোসেন দুবাইয়ে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নেন। তার চিত্রকর্মে বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়।

লেখক: আমিরাতপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago